জন্ম নিবন্ধন

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা ২০২৪

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফি কত টাকা ২০২৪ সালে? বাংলাদেশে প্রতিটি শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা আইনি বাধ্যতা। জন্ম নিবন্ধন কেবল একটি পরিচয়পত্রের চেয়ে অনেক বেশি কিছু; এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য কিংবা ২০২৪ সালে ঘরে বসে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট ফি রয়েছে।

এই ব্লগ পোস্টে, আমরা আলোচনা করব:

  • জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রযোজ্য ফি
  • জন্ম নিবন্ধনের প্রক্রিয়া
  • জন্ম নিবন্ধনের গুরুত্ব
  • কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

জন্ম নিবন্ধনের ফি:

  • ০-৪৫ দিন: বিনামূল্যে
  • ৪৬ দিন – ৫ বছর: ২৫ টাকা
  • ৫ বছরের বেশি: ৫০ টাকা

বিদেশ থেকে জন্ম নিবন্ধন:

  • ০-৪৫ দিন: বিনামূল্যে
  • ৪৬ দিন – ৫ বছর: ১ মার্কিন ডলার
  • ৫ বছরের বেশি: ১ মার্কিন ডলার
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
    • শিশুর জন্ম সনদ
    • পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
    • বিবাহ সনদ (যদি প্রযোজ্য হয়)
    • গ্রাম প্রধান/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সার্টিফিকেট
  • আবেদন প্রক্রিয়া:
    • আপনার এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা কার্যালয়ে যান।
    • নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন।
    • নির্ধারিত ফি পরিশোধ করুন।
    • আপনার আবেদন গ্রহণের পর, আপনাকে একটি রসিদ দেওয়া হবে।
    • নির্ধারিত সময়ের পর, আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।

জন্ম নিবন্ধনের গুরুত্ব:

  • জন্ম নিবন্ধন শিশুর জাতীয়তা প্রমাণ করে।
  • এটি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য প্রয়োজনীয়।
  • ভ্রমণ, কর্মসংস্থান এবং সম্পত্তির অধিকারের জন্য এটি প্রয়োজনীয়।
  • এটি জরুরী পরিস্থিতিতে শিশুর পরিচয় নির্ধারণে সহায়তা করে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সর্বোচ্চ সময়সীমা শিশুর জন্মের ৯০ দিন।
  • আপনি অনলাইনেও জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারেন।
  • জন্ম নিবন্ধনের সংশোধন করার জন্য, আপনাকে নির্ধারিত ফি দিতে হবে।
  • জন্ম নিবন্ধনের নকল সনদের জন্যও আপনাকে ফি দিতে হবে।

অনলাইনে ফি পরিশোধের বিস্তারিত নিয়মাবলী

প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র:

  • একটি কম্পিউটার বা স্মার্টফোন যার ইন্টারনেট সংযোগ আছে
  • জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের আইডি (Application ID)
  • নিবন্ধনকারীর জন্ম তারিখ
  • একটি অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে (যেমন বিকাশ, নগদ, ব্যাংক একাউন্ট)

ধাপ ১: e-Services ওয়েবসাইটে যান

প্রথমে, আপনাকে https://bdris.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল ই-সার্ভিস ওয়েবসাইট।

ধাপ ২: লগইন করুন

ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর, আপনাকে আপনার ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। আপনার যদি এখনও অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে আপনাকে “Create Account” বিকল্পে ক্লিক করে একটি তৈরি করতে হবে।

ধাপ 3: আবেদন নির্বাচন করুন

লগইন করার পরে, “Services” মেনুতে ক্লিক করুন এবং “Birth Registration” সাবমেনু থেকে “Payment” বিকল্পটি নির্বাচন করুন।

ধাপ ৪: প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করুন

এই পৃষ্ঠায়, আপনাকে নিম্নলিখিত তথ্য প্রদান করতে হবে:

  • আবেদনের আইডি (Application ID)
  • নিবন্ধনকারীর জন্ম তারিখ
  • পছন্দের পেমেন্ট গেটওয়ে

ধাপ ৫: পেমেন্ট করুন

আপনার প্রদত্ত তথ্য যাচাই করার পরে, “Pay Now” বোতামে ক্লিক করুন। এটি আপনাকে নির্বাচিত পেমেন্ট গেটওয়েতে নিয়ে যাবে যেখানে আপনি আপনার পেমেন্টের বিবরণ প্রদান করে এবং লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন।

ধাপ ৬: রসিদ সংগ্রহ করুন

সফলভাবে পেমেন্ট করার পরে, আপনি একটি রসিদ পাবেন যা আপনার কম্পিউটারে ডাউনলোড বা প্রিন্ট করতে পারবেন। এই রসিদটি আপনার জন্ম নিবন্ধনের আবেদনের সাথে সংযুক্ত রাখুন।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

  • জন্ম নিবন্ধন ফি অনলাইনে পরিশোধ করার জন্য কোন অতিরিক্ত চার্জ নেই।
  • আপনি যদি পেমেন্ট করতে অসুবিধায় পড়েন তবে ওয়েবসাইটে দেওয়া “Help” বিভাগটি দেখুন অথবা e-Services হেল্পলাইনে (+880 1713-333-777) যোগাযোগ করুন।

জন্ম নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা প্রতিটি শিশুর জন্য অপরিহার্য। শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা উচিত।

এই পোস্ট থেকে জন্ম নিবন্ধন আবেদন অনলাইনে যাচাই করে ভুল থাকলে জন্ম নিবন্ধন আবেদন সংশোধন আবেদন করতে হয়। জন্ম নিবন্ধন অনলাইন যাচাই করে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইন আবেদন করতে পারেন। আশা করছি এই পোস্ট থেকে জেনেছেন কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা যায় কিংবা জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের পর জন্ম নিবন্ধন কার্ড ডাউনলোড করে নিন। ফেসবুকে দেখুন এখানে

M@mun

Hasan Al Mamun is a dedicated teacher, blogger, and YouTuber who has achieved great success in his field. He was born to parents Shahjahan Topodar and Masrura Begum and grew up with a love for learning and exploration. After completing his Bachelor's degree, Hasan pursued a Master's degree in Accounting and excelled in his studies. He then began his career as a teacher, sharing his knowledge and passion for accounting with his students. In addition to teaching, Hasan is also an avid blogger and YouTuber, creating content that educates and inspires his viewers. His YouTube channel, "My Classroom," has grown to an impressive 240,000 subscribers, earning him a silver play button from YouTube. Hasan's interests include book reading, travelling, gardening, and writing, and he often incorporates these passions into his work. He strives to create an honest and supportive community in all of his endeavors, encouraging his followers to learn and grow alongside him. Overall, Hasan Al Mamun is a talented and dedicated individual who has made a significant impact in the fields of education, blogging, and content creation.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button