আমাদের জাতীয় পতাকা রচনা। ৪র্থ শ্রেণি, ৫ম শ্রেণি, ষষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনি
আমাদের জাতীয় পতাকা রচনাটি ৩য় শ্রেনি, ৪র্থ শ্রেণি, ৫ম শ্রেণি, ষষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনি উপযোগী লেখা হয়েছে। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অনেক সময় আমাদের জাতীয় পতাকা রচনা না দিয়ে বলা হয় আমাদের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখুন। আবার চাকরি কিংবা ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে আসে আমাদের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে অনুচ্ছেদ লিখুন। বাংলা ২য়পত্র বিষয় থেকে আমাদের জাতীয় পতাকা রচনাটি সহজ ভাষায় লিখা হয়েছে । ৩য় থেকে ৭ম শ্রেনি উপযোগী করে লেখা হয়েছে।
আমাদের জাতীয় পতাকা রচনাটি সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে। যেন, একবার পড়লেই মুখস্থ হয়ে যায়। আমাদের জাতীয় পতাকা এর জায়গায় যদি আসে আদর্শ বিদ্যালয় তাহলেও রচনাটি লিখতে পারেন। Our National flag essay is written for class- 3, 4, 5, 6 and 7. আরো রচনা দেখুন এখানে
আমাদের জাতীয় পতাকা
ভূমিকা : জাতীয় পতাকা একটি জাতির অস্তিত্বের প্রতীক। প্রত্যেকটি স্বাধীন জাতির একটি নির্দিষ্ট জাতীয় পতাকা রয়েছে। এই পতাকা বহির্বিশ্বের সাথে একটি দেশকে পরিচয় করিয়ে দেয়। জাতীয় পতাকা একটি দেশের সম্মান আর গর্বের প্রতীক। জাতীয় পতাকার গৌরব অর্জন করা অনেক কষ্টসাধ্য বিষয়। অনেক সংগ্রাম আর ত্যাগ-তিতিক্ষার পর একটি দেশ স্বাধীন দেশের পতাকা পায়। তাই জাতীয় পতাকার তাৎপর্য অপরিসীম। জাতীয় পতাকার আকার ও আকৃতি : জাতীয় পতাকার পরিমাপ ও আকৃতি সাধারণত একেক দেশের একেক রকম। আমাদের
জাতীয় পতাকার আকার আয়তকার, জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত যথাক্রমে ১০ ঃ ৬। পতাকার মাঝখানের লাল বৃত্তটির ব্যাসার্ধ পতাকার দৈর্ঘ্যের পাঁচ ভাগের একভাগ। বস্তুত অনুপাতের হার ঠিক রেখে জাতীয় পতাকা বিভিন্ন মাপের হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বহু ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা আমাদের জাতীয় পতাকা অর্জন করেছি। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের জাতীয় পতাকার সম্মান অর্জন করেছি। জাতীয় পতাকা আমাদের মহান ত্যাগের স্বাক্ষর। এই পতাকাই আজ বিশ্বদরবারে আমাদের পরিচিতি বহন করছে। জাতীয় পতাকার
জাতীয় পতাকার নকশাকার
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মূল নকশাকার শিবনারায়ণ দাশ। তাঁর নকশা করা ও পতাকায়
লাল বৃত্তের মাঝে হলুদ রঙে আঁকা ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র। ২ মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলাভবনের সামনে ছাত্র সমাবেশে প্রথম এই পতাকা উত্তোলিত হয়। পরবর্তী সময়ে চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান মাঝের মানচিত্রটি বাদ দিয়ে জাতীয় পতাকার নকশা করেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রতীক জাতীয় পতাকা
জাতীয় পতাকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্মৃতি বহন করে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। এই স্বাধীনতা অর্জনে নানা ধর্ম ও শ্রেণি-পেশার মানুষ একই জাতিসত্তার চেতনায় ভূমিকা রেখেছে। জাতীয় পতাকা তাই স্বাধীনতাসংগ্রামের চেতনার ধারক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে এ চেতনাবোধ অক্ষুণ্ণ ও অটুট থাকবে।
দেশপ্রেম ও জাতীয় পতাকা
জাতীয় পতাকা আমাদের দেশপ্রেমের স্বাক্ষর বহন করে। মা, মাতৃভাষা ও মাতৃভূমির প্রতি অপরিমেয় দেশাত্মবোধের কারণেই বাংলার বীর সন্তানেরা আত্মাহুতি দিয়েছে। এই জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন দেশপ্রেমেরই নামান্তর । অন্যদিকে যারা জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখায় না, পক্ষান্তরে তারা দেশদ্রোহী। তারা সবার কাছে নিন্দিত ও ঘূর্ণিত ।
জাতীয় পতাকার বিশেষত্ব
আমাদের গর্বের প্রতীক জাতীয় পতাকার কিছু বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। পতাকার চারপাশে সবুজ রং বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতির পরিচয় বহন করে । মাঝখানের গাঢ় টুকটুকে লাল বৃত্ত উদীয়মান সূর্যের প্রতীক। তা ছাড়া শহিদদের লাল রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার প্রতীকও এটি। আমার পতাকা আমার অহংকার।
দেশের জন্য জাতীয় পতাকার গুরুত্ব
জাতীয় পতাকা আমাদের প্রেরণার উৎস। যেকোনো কাজে আমরা জাতীয় পতাকা থেকে উৎসাহ পাই। জাতীয় পতাকা কেবল লাল-সবুজের মিশ্রণে এক টুকরা কাপড় নয়, তা আমাদের জাতীয় চেতনার নাম। যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা বাঙালিরা এক কাতারে এসে দাঁড়াই জাতীয় পতাকাকে সামনে নিয়ে। জাতীয় পতাকা মিশে আছে আমাদের আবেগ, অনুভূতি ও ত্যাগের সাথে। তাই জাতীয় পতাকার গুরুত্ব অপরিসীম।
জাতীয় পতাকার সম্মান
জাতীয় পতাকা সম্মানের সাথে ব্যবহার করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে যেন
কোনোভাবেই জাতীয় পতাকার অসম্মান না হয়। সাধারণত রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন জাতীয় পতাকা উড়ানো হয়। এ ছাড়া পাড়িতেও জাতীয় পতাকা উড়ানো হয়। বিভিন্ন জাতীয় দিবস; যেমন: স্বাধীনতা দিবস, বিজয়, দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় জাতীয় পতাকাকে সম্মান প্রদর্শন করে উত্তোলন করা হয়।
উপসংহার
একটি দেশ ও একটি পতাকা সবারই পরম আরাধ্য। আমাদের জাতীয় পতাকা অনেক কষ্টের ফসল। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে লাল-সবুজের এই পতাকা আমরা পেয়েছি। তাই এর মর্যাদা রক্ষায় আরও সোচ্চার হতে হবে। পতাকার সম্মান মানে দেশের সম্মান । এই লাল-সবুজের জাতীয় পতাকাকে সম্মান করা তাই প্রতিটি বাঙালির অত্যাবশ্যকীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আরো গুরুত্বপূর্ন রচনা
সবশেষে
অনেকেই আমাদের জাতীয় পতাকা রচনা pdf চেয়েছেন। আমাদের জাতীয় পতাকা রচনা class 8, আদর্শ গ্রাম রচনা ক্লাস ২, আদর্শ গ্রাম অনুচ্ছেদ রচনা, আমাদের জাতীয় পতাকা রচনা ৩য় শ্রেণি, আমাদের জাতীয় পতাকা রচনা ক্লাস 6, আমাদের জাতীয় পতাকা রচনা class 10 সহ সকল চাহিদার পূরন হবে এই পোস্ট।