কর্মমুখী শিক্ষা রচনা অথবা কারিগরি শিক্ষা রচনা সকল শ্রেনির জন্য

কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনাটি ৩য় শ্রেনি, ৪র্থ শ্রেণি, ৫ম শ্রেণি, ষষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনি উপযোগী লেখা হয়েছে। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অনেক সময় কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনা না দিয়ে বলা হয় কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখুন। আবার চাকরি কিংবা ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে আসে কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে অনুচ্ছেদ লিখুন। বাংলা ২য়পত্র বিষয় থেকে কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনাটি সহজ ভাষায় লিখা হয়েছে । ৩য় থেকে ৭ম শ্রেনি উপযোগী করে লেখা হয়েছে কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনাটি ।
কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনাটি সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে। যেন, একবার পড়লেই মুখস্থ হয়ে যায়। কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা এর জায়গায় যদি আসে আদর্শ বিদ্যালয় তাহলেও রচনাটি লিখতে পারেন। Technical Education essay is written for class- 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10
কর্মমুখী শিক্ষা রচনা অথবা কারিগরি শিক্ষা
সময়ের স্রোতে বিশ্ব ক্রমশ পরিবর্তিত হচ্ছে, আর সেই সঙ্গে শিক্ষার রূপরেখাও। যে জীবনে শিক্ষা নেই, তা কেবলই নিরর্থক। অথচ, যে শিক্ষায় বাস্তব জীবনের প্রয়োগ নেই, সেটাও পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা হতে পারে না। প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দৈনন্দিন জীবনধারার সাথে সংগতিহীন ছিল। এর ফলে জীবনধারণের সাথে সামঞ্জস্যহীন শিক্ষা, বেকারত্ব ও দারিদ্র্যের এক বিশাল চক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায়, কর্মমুখী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
কর্মমুখী/বৃত্তিমূলক শিক্ষা
কর্মমুখী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে বলা হয় সেই শিক্ষাকে, যা জীবনের বাস্তব কর্মের সাথে প্রায়োগিকভাবে সম্পৃক্ত। এটি কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষা, যা দেশের বাস্তব সমস্যা সমাধানের উপযোগী করে তৈরি করা হয়। কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন পেশায় নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারে।
প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা
বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা এখনও অনেকাংশে কর্মমুখী শিক্ষার সাথে অসংগতিপূর্ণ। এটি প্রায়োগিক ও বিজ্ঞানসম্মত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেরানিগিরির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা শেষে বেকার থাকে। শুধু ডিগ্রির পেছনে ছুটে প্রকৃত দক্ষতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় বেকারত্বের অভিশাপ ঘিরে ধরছে শিক্ষার্থীদের। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও তারা তেমন কোনো অবদান রাখতে পারছে না। এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মূলত মুখস্থ বিদ্যার উপর নির্ভরশীলতা দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় পাস করার জন্য যা মুখস্থ করে, তা বাস্তব জীবনে খুব একটা কাজে আসে না। পুঁথিগত শিক্ষা জীবনের সাথে সম্পৃক্ত নয় বলে অনেক ক্ষেত্রে এটি শিক্ষার্থীদের পঙ্গুত্ব বয়ে আনে। ফলে দক্ষ পেশাজীবী, কারিগর, বিজ্ঞানী তৈরির প্রয়োজনীয়তা পূরণে এ শিক্ষাব্যবস্থা ব্যর্থ। ঔপনিবেশিক শাসনামলের প্রচলিত শিক্ষাপদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা কেরানি হওয়ার দিকেই বেশি ঝুঁকে থাকে।
বাংলাদেশে বৃত্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা:
বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সরকার সম্প্রতি মাধ্যমিক পর্যায়ে কৃষিশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করেছে এবং বিভিন্ন ভোকেশনাল প্রোগ্রাম চালু করেছে। এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এছাড়া বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করার জন্য সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখনও তেমন আগ্রহ তৈরি হয়নি। ফলে শিক্ষাব্যবস্থা তেমন অগ্রগতি অর্জন করতে পারেনি।
উন্নত দেশের প্রেক্ষিত
বিভিন্ন উন্নত ও ধনী দেশগুলোতে কর্মমুখী শিক্ষা বা বৃত্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা সফলভাবে প্রচলিত রয়েছে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ইত্যাদি দেশগুলো কর্মমুখী শিক্ষা প্রবর্তন করে নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সফল হয়েছে। এসব দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কেরানি হওয়ার কোনো প্রবণতা নেই; বরং তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্ভাবনী চিন্তা ও কর্মদক্ষতার বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করে।
বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণে অনীহা
অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতি অনীহা প্রকাশ করে থাকে। বিশেষ করে আমাদের সমাজে কর্মমুখী শিক্ষাকে অনেকেই তুচ্ছ বা অসম্মানের কাজ মনে করে। কায়িক শ্রমের প্রতি লজ্জা বোধ এবং মূল্যবোধের প্রচলিত ধারণা বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করেছে। শ্রেণিগত বৈষম্যের কারণেও এই ধরনের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কম।
উপসংহার
প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে কর্মমুখী শিক্ষা আমাদের সমাজে প্রয়োগ করা অতীব জরুরি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক যুগোপযোগী করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি জোর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাস্তব দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে আত্মনির্ভরশীল করে তুলতে কর্মমুখী শিক্ষা অপরিহার্য।
কর্মমুখী শিক্ষা রচনা অথবা কারিগরি শিক্ষা ২০-২৫-৩০ পয়েন্ট
উপস্থাপনা
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ এবং গতিহীন। কিন্তু বাস্তব জীবনে প্রয়োগহীন শিক্ষা অর্থহীন ও সমাজের জন্য বোঝাস্বরূপ। কর্মমুখী শিক্ষাই জীবনের সাথে যুক্ত প্রকৃত শিক্ষা এবং আমাদের বাস্তব জীবনের উপযোগী।
কর্মমুখী শিক্ষা কী
কর্মমুখী শিক্ষা হলো ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট কাজের জন্য দক্ষ করে তোলার প্রক্রিয়া। এ ধরনের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যক্তি হাতে-কলমে শিক্ষাগ্রহণ করে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে। এটি ‘কারিগরি শিক্ষা’ নামেও পরিচিত।
কর্মমুখী বৃত্তিমূলক শিক্ষা
কর্মমুখী বৃত্তিমূলক শিক্ষা এমন শিক্ষা যেখানে কর্ম ও জীবিকার সম্পর্ক নিবিড়। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি এটি জীবিকা অর্জনে সহায়ক ও দেশকে কর্মসংস্থানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
কর্মমুখী শিক্ষার প্রকারভেদ
কর্মমুখী শিক্ষা প্রধানত দুই ধরনের: উচ্চতর কর্মমুখী শিক্ষা এবং সাধারণ কর্মমুখী শিক্ষা। উচ্চতর কর্মমুখী শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রির মাধ্যমে জীবিকা অর্জন সম্ভব। সাধারণ কর্মমুখী শিক্ষায়, হাতের কাজ শিখে স্বনির্ভর হওয়া যায়।
কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা
শিক্ষাকে আত্মিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক প্রয়োজনে যুক্ত করতে হবে। কৃষিকাজ, মেরামতকাজ, এবং অন্যান্য বৃত্তিমূলক কাজ আমাদের সমাজে স্বনির্ভরতা আনবে। কর্মমুখী শিক্ষা দিলে বেকারত্ব কমে আসবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা
যুগের প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাব্যবস্থা পরিবর্তন না হওয়ায়, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ডিগ্রি প্রদান করে কিন্তু চাকরির নিশ্চয়তা দেয় না। এই অবস্থার ফলে বেকারত্বের অভিশাপে যুবসমাজ আজ দিশেহারা।
কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্ব
কর্মমুখী বা বৃত্তিমূলক শিক্ষা হলো এমন শিক্ষা, যা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করা যায় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে। এটি বেকারত্ব দূর করে ও আত্মনির্ভর হতে সহায়তা করে। দক্ষতায় উন্নতি এনে ব্যক্তি ও সমাজ উভয়কেই সমৃদ্ধ করার সুযোগ দেয় এই শিক্ষাব্যবস্থা।
কর্মমুখী শিক্ষার বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা চারটি স্তরে বিভক্ত: প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষা। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষার প্রচলন থাকলেও তা এখনও খুব সীমিত। কর্মমুখী শিক্ষার সম্প্রসারণ হলে কৃষি, শিল্প, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী তৈরির সুযোগ বাড়বে, যা দেশের উন্নয়নে সহায়ক হবে।
সম্ভাবনা এবং উন্নতির দিক
বাংলাদেশে কর্মমুখী শিক্ষার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক জ্ঞান প্রদান করা যেতে পারে। তারপর যোগ্যতার ভিত্তিতে বাছাই করে বৃত্তিমূলক শিক্ষায় প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে, যা শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী তৈরি করবে।
সচেতনতা ও আগ্রহ বাড়ানো
কুসংস্কার ও শ্রেণিগত বৈষম্যের কারণে অনেকেই কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি আগ্রহী নয়। তবে সমাজের অগ্রগতির জন্য এ শিক্ষার প্রতি সচেতনতা বাড়ানো দরকার। প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব বোঝানো সম্ভব, যা ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে উন্নয়ন আনতে সহায়ক হবে।
কর্মমুখী শিক্ষার উপকারিতা
কর্মমুখী শিক্ষার প্রচলন ব্যপক হলেও এর সুবিধাগুলো অস্বীকার করা সম্ভব নয়। কর্মমুখী শিক্ষার কিছু উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হলো:
- বেকারত্বের হার কমানো: কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণ করলে বেকারত্বের সমস্যার মোকাবিলা করা সহজ হয়।
- কাজের সুযোগ বৃদ্ধি: এ ধরনের শিক্ষা অর্জন করে সহজেই কর্মসংস্থান পাওয়া সম্ভব।
- আর্থিক স্বাধীনতা: উপার্জনযোগ্য হওয়ায় ব্যক্তি স্বাবলম্বী হতে পারে।
- সাধারণ শিক্ষার চাপ কমানো: কর্মমুখী শিক্ষা সাধারণ শিক্ষার ওপর চাপ কমায়।
- হতাশা মুক্তি: জীবনের হতাশা এবং ব্যর্থতার অনুভূতি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
- নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি: নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার
কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব এখন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। এটি হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করে শিক্ষার্থীদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করে। কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ছাড়া কোন জাতির উন্নতি সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে কর্মমুখী শিক্ষার ক্ষেত্র দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে প্রকৌশল, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ও ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে উঠেছে, যা কর্মমুখী শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে, সেগুলো এখনও প্রয়োজনের তুলনায় কম। এজন্য সরকার ও জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় আরো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা প্রয়োজন।
বর্তমানে মাধ্যমিক স্তরে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নবম ও দশম শ্রেণিতে বেসিক ট্রেড কোর্স, কৃষিবিজ্ঞান, শিল্প, সমাজকল্যাণ ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বৃত্তিমূলক / কর্মমুখী শিক্ষার শ্রেণিবিভাগ
বৃত্তিমূলক বা কর্মমুখী শিক্ষা দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত:
- উচ্চ শিক্ষা: ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষিবিদ্যা, ওকালতি ইত্যাদির জন্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ ডিগ্রির প্রয়োজন।
- সাধারণ কর্মমুখী শিক্ষা: এই শিক্ষার জন্য উচ্চ ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না, সাধারণত প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা যথেষ্ট। যেমন: ধাত্রীবিদ্যা, সেলাই, কাঠমিস্ত্রি, দর্জি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি।
সাধারণ শিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষা
কর্মসংস্থানের সহায়ক যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, সেটিই কর্মমুখী শিক্ষা। দেশের চাহিদা, শিক্ষার মান এবং শিক্ষার্থীদের মেধার সাথে সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয় ঘটালে সাধারণ শিক্ষাও কর্মমুখী হয়ে ওঠে।
কর্মমুখী শিক্ষার ক্ষেত্র
কর্মমুখী শিক্ষার লক্ষ্য হলো জীবনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ এবং মানুষের জীবিকা নিশ্চিত করা। বিভিন্ন কার্যক্রমে কর্মমুখী শিক্ষা জড়িত, যেমন: কাপড় সেলাই, পোশাক ডিজাইনিং, গাড়ি চালনা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি প্রস্তুত, এবং কৃষি সম্পর্কিত কাজ।
এ ক্ষেত্রে পেশাগত উৎকর্ষ অর্জনের সুযোগ এবং সাধারণ শ্রমিকের তুলনায় পারিশ্রমিকের পরিমাণও বেশি। বর্তমানে মৎস্যচাষ, হাঁস-মুরগি পালন, এবং ডেইরি শিল্পও কর্মমুখী শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত।
প্রচলিত শিক্ষার ত্রুটি
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার সিলেবাস বাস্তবতাহীন হওয়ায় অনেক ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থী বেকার হয়ে পড়ছে। ফলে প্রয়োজনীয় পেশাদার যেমন চিকিৎসক বা যন্ত্রবিজ্ঞানী তৈরি হচ্ছে না।
কর্মমুখী/বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংখ্যা কম। প্রধান কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় হলো বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এছাড়া ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী ও চট্টগ্রামের প্রকৌশল মহাবিদ্যালয় রয়েছে।
কর্মমুখী শিক্ষার জন্য আনুষ্ঠানিক ও সরকারি উদ্যোগ
বাংলাদেশে তিন ধরনের কারিগরি শিক্ষা দেয়া হচ্ছে:
- ডিগ্রি পর্যায়: প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদ তৈরি করা হয়।
- ডিপ্লোমা পর্যায়: টেকনিশিয়ান তৈরি করা হয়।
- সার্টিফিকেট পর্যায়: দক্ষ কারিগর ও কর্মী তৈরি করা হয়।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হয়, তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম।
উপসংহার
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে এই জনসংখ্যাকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব। দক্ষ জনশক্তি দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি, তাই কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সবশেষে
অনেকেই কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনা pdf চেয়েছেন। কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনা class 8, কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনা ক্লাস ২, কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা অনুচ্ছেদ রচনা, কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনা ৩য় শ্রেণি, কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনা ক্লাস 6, কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনা class 10 সহ সকল চাহিদার পূরন হবে এই পোস্ট। মাই ক্লাসরুম ফেসবুক পেজ এখানে
যেভাবে খুজে পাবেন: কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনা সহজ ভাষায় ২০০ শব্দ, ৩০০ শব্দ, ৪০০ শব্দ, ৪৫০ শব্দে লেখা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে রচনাটি লেখা হয়েছে। কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনাটি ৬ষ্ঠ ৭ম ও ৮ম শ্রেণির জন্য ১৫ পয়েন্ট ২০ পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে। ৯ম ১০ম ১১শ ও ১২শ ক্লাসের জন্য ২৫ পয়েন্ট ও ৩০ পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে। অনেকে কর্মমুখী শিক্ষা / কারিগরি শিক্ষা রচনা pdf ডাউনলোড করতে চান। আপনি মাই ক্লাসরুম থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না।
১১ থেকে ২০ গ্রেডের অনেক চাকরি পরীক্ষা লিখিত হয়। লিখিত চাকরী পরীক্ষাগুলোতে রচনা লিখতে হয়। লিখিত চাকরি পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য উপযোগী করে এই রচনাগুলো লেখা হয়েছে। চাকরী পরীক্ষা যেমন- ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা, ইউনিয়ন সমাজকর্মীর জন্য বাংলা রচনা, খাদ্য অধিদপ্তর এর জন্য বাংলা রচনা প্রস্তুতি, বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ পরীক্ষা প্রস্তুতি, বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি, ব্যাংক লিখিত প্রস্তুতি সহ সকল সরকারি ও বেসরকারি চাকরি পরীক্ষার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।