স্বাস্থ্যকথা

গরমে স্কুলে শিশুদের সুস্থ্য রাখতে করনীয়

এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবার খুলেছে স্কুল। কিন্তু আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, গরমের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা নেই। তাই এই অস্বাভাবিক গরমে শিশুদের স্কুলে পাঠানোর বেলায় অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষকেও শিশুদের নিরাপত্তার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

অতিরিক্ত গরমে স্কুলে দীর্ঘক্ষণ থাকলে শিশুদের পানিশূন্যতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। শিশুরা বড়দের মতো তৃষ্ণা অনুভব করতে পারে না। তাই প্রয়োজনে তাদের পানি পান করতে হুঁশিয়ারি দিতে হবে। স্কুলে যাওয়া-আসা, যানবাহন ব্যবহার, রোদে খেলাধুলা করার সময় দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এর সাথে সঙ্গী হতে পারে সানবার্ন, র‍্যাশ, হিটস্ট্রোক, মূত্রনালীর সংক্রমণ, ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি ইত্যাদি।

অভিভাবকদের করণীয়:

  • পোশাক: নরম, ঢিলেঢালা ও সুতির পোশাক পরান।
  • টিফিন: হালকা খাবার, মৌসুমি ফল, তাজা ফলের রস দিন। তৈলাক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন।
  • পানি: পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি, ফ্লাস্ক বা বোতল দিন। বারবার একটু একটু করে পানি খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করুন। ঠান্ডা বা গরম পানি, কেনা জুস, কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন।
  • পাত্র: পানি ও পানীয়ের জন্য স্টিলের বোতল ব্যবহার করুন। নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
  • সূর্য থেকে সুরক্ষা: রোদে বেশি দৌড়াদৌড়ি, খেলাধুলা না করতে দেওয়া। রাস্তায় ছাতা ব্যবহার।
  • গোসল: স্কুল থেকে ফিরে বিশ্রাম নিয়ে ঠান্ডা জলে গোসল করান। ভেজা চুল মুছে ফেলুন। প্রতিদিন স্কুলের পোশাক ধুয়ে দিন।
  • ঘাম: ঘাম মুছে ফেলার জন্য রুমাল ব্যবহার করতে শেখান। টিস্যু ব্যবহার না করে ব্যাগে পরিষ্কার রুমাল বা গামছা রাখুন।
  • অসুস্থতা: তাপজনিত অসুস্থতার লক্ষণ (পেশিতে খিঁচুনি, মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, বমি বমি ভাব) দেখা দিলে শিশুকে শিক্ষককে জানাতে বলুন।

স্কুল কর্তৃপক্ষের করণীয়:

  • শ্রেণিকক্ষে খেলাধুলা: টিফিন পিরিয়ডে শিশুদের ব্যস্ত রাখতে খেলাধুলা, ছবি আঁকা, গল্প বলা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা।
  • অ্যাসেম্বলি ও খেলাধুলা: এই গরমে স্কুল মাঠে অ্যাসেম্বলি ও খেলাধুলা বন্ধ রাখা উচিত।
  • পোশাক: ভারী ও অস্বস্তিকর পোশাকের পরিবর্তে হালকা পোশাক পরার অনুমতি দেওয়া।
  • পানি: প্রতি আধঘণ্টা বা এক ঘণ্টা অন্তর শিশুদের পানি পান করানো। শিক্ষকদেরও পানি পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
  • অসুস্থতা: অসুস্থ শিশুদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা।
  • সচেতনতা: তাপজনিত সমস্যা সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করতে পোস্টার, ছবি, আলোচনা ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচারণা চালানো।
  • প্রশিক্ষণ: শিক্ষকদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রশিক্ষণ দেওয়া।
  • পরিবেশ: স্কুলের পরিবেশ ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা করা।
  • ভেন্টিলেশন: পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা।
  • প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র: স্কুলে প্রয়োজনীয় ফার্স্ট এইড কিট, ওআরএস, ঠান্ডা জল ইত্যাদি রাখা।

আরো পড়ুন:

গরমের সময় শিশুদের যত্ন নিবেন কিভাবে?

শেষ কথা:

  • গরমের তীব্রতায় শিশুদের স্কুলে পাঠানোর বেলায় অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। উপরে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো মেনে চললে শিশুরা গরমের সময় সুস্থ থাকবে।
  • আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাদের জন্য সহায়ক হবে।

M@mun

Hasan Al Mamun is a dedicated teacher, blogger, and YouTuber who has achieved great success in his field. He was born to parents Shahjahan Topodar and Masrura Begum and grew up with a love for learning and exploration. After completing his Bachelor's degree, Hasan pursued a Master's degree in Accounting and excelled in his studies. He then began his career as a teacher, sharing his knowledge and passion for accounting with his students. In addition to teaching, Hasan is also an avid blogger and YouTuber, creating content that educates and inspires his viewers. His YouTube channel, "My Classroom," has grown to an impressive 240,000 subscribers, earning him a silver play button from YouTube. Hasan's interests include book reading, travelling, gardening, and writing, and he often incorporates these passions into his work. He strives to create an honest and supportive community in all of his endeavors, encouraging his followers to learn and grow alongside him. Overall, Hasan Al Mamun is a talented and dedicated individual who has made a significant impact in the fields of education, blogging, and content creation.

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button