কর্ণফুলী টানেল বা বঙ্গবন্ধু টানেল রচনা। ১৫-৩০ পয়েন্ট রচনা
কর্ণফুলী টানেল রচনাটি ৩য় শ্রেনি, ৪র্থ শ্রেণি, ৫ম শ্রেণি, ষষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনি উপযোগী লেখা হয়েছে। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অনেক সময় কর্ণফুলী টানেল রচনা না দিয়ে বলা হয় কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখুন। আবার চাকরি কিংবা ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে আসে কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে অনুচ্ছেদ লিখুন। বাংলা ২য়পত্র বিষয় থেকে কর্ণফুলী টানেল রচনাটি সহজ ভাষায় লিখা হয়েছে । ৩য় থেকে ৭ম শ্রেনি উপযোগী করে লেখা হয়েছে।
কর্ণফুলী টানেল রচনাটি সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে। যেন, একবার পড়লেই মুখস্থ হয়ে যায়। কর্ণফুলী টানেল এর জায়গায় যদি আসে আদর্শ বিদ্যালয় তাহলেও রচনাটি লিখতে পারেন। karnaphuli tunnel essay is written for class- 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10
বঙ্গবন্ধু টানেল বা কর্ণফুলী টানেল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল
ভূমিকা: বঙ্গবন্ধু টানেল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল যানবাহন চলাচলের জন্য বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ। টানেলটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত। এই সুড়ঙ্গটি কর্ণফুলী নদীর দুই তীরের অঞ্চলকে যুক্ত করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হয়েছে এই সুড়ঙ্গপথের মধ্য দিয়ে। টানেলটি গত ২৮ অক্টোবর ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার মধ্য দিয়ে টানেলটি বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারায় নবদিগন্তের সূচনা করে।
বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য ও গভীরতা
কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিলোমিটার। এই সুড়ঙ্গটি বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গপথ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ। কর্ণফুলী নদীর মধ্যভাগে ১৫০ ফুট গভীরে সুড়ঙ্গটির অবস্থান।
বঙ্গবন্ধু টানেলের ইতিহাস
কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল বাংলাদেশের একটি মেগা প্রকল্প। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধু টানেলের অর্থায়ন
সুড়ঙ্গ নির্মাণে ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এর ঢাকা সফরে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে, ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০ বছর মেয়াদি ঋণ হিসাবে দুই শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকার করছে।
বঙ্গবন্ধু টানেল বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধু টানেল ৪ লেনবিশিষ্ট দুটি টিউব-সংবলিত ৩.৪ কিলোমিটার কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত। নদীর তলদেশে প্রতিটি টিউব চওড়ায় ১০.৮ মিটার বা ৩৫ ফুট এবং উচ্চতায় ৪.৮ মিটার বা ১৬ ফুট। একটি টিউব থেকে অপর টিউবের পাশাপাশি দূরত্ব অন্তত ১২ মিটার। টানেল বা সুড়ঙ্গের প্রস্থ ৭০০ মিটার ও দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৪০০ মিটার। এ ছাড়া টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রোচ রোড) এবং ৭২৭ মিটার ওভারব্রিজ চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে।
প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রতিবেদনের অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু টানেল চালুর প্রথম বছরে ৬৩ লাখ গাড়ি সুড়ঙ্গের নিচ দিয়ে চলাচল করবে। তারপর ক্রমান্বয়ে বাড়তে বাড়তে দেড় কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। প্রথম বছরে চলাচলকারী গাড়ির প্রায় ৫১ শতাংশ হবে কনটেইনার পরিবহনকারী ট্রেইলর ও বিভিন্ন ধরনের ট্রাক ও ভ্যান। বাকি ৪৯ শতাংশের মধ্যে ১৩ লাখ বাস ও মিনিবাস। আর ১২ লাখ কার, জিপ ও বিভিন্ন ধরনের ছোট গাড়ি চলাচল করবে।
বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রবেশপথ
বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান নকশা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু টানেল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রবেশপথ বিমানবন্দর অর্থাৎ পতেঙ্গা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের কর্ণফুলী দুই কিলোমিটার ভাটির দিকে নৌবাহিনী এভিনিউর সামনে।
বঙ্গবন্ধু টানেলের বহির্গমন পথ
কর্ণফুলী নদীর অপর পাড়ে আনোয়ারা উপজেলা প্রান্তে সার কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি এবং চিটাগাং অংশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লি.-এর মাঝামাঝি স্থান দিয়ে। টানেলের দৈর্ঘ্য হচ্ছে মোট ৯.৩৯২ কিলোমিটার। এটি ডুয়েল অর্থাৎ দুই লেনের টানেল। শিল্প ড্রিভেন মেথন পদ্ধতিতে টানেল নির্মিত। নদীর তলদেশ থেকে টানেলের গভীরতা ১৮ থেকে ৩১ মিটার বা কমপক্ষে ৩৬ থেকে ১০৮ ফুট পর্যন্ত গভীর।
কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের কারণ
বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন তথ্য বিবরণীতে দেখা যায়, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল বা সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের পেছনে নানাবিধ কারণ রয়েছে। চীনের কুনসিংকে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ হয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্তকারী করিডোর বেল্ট অ্যান্ড কোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরই) উদ্দেশ্য হচ্ছে:
- পণ্যসেবা ও জ্বালানির বাজার প্রবেশগম্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি অশুল্ক বাধা দূর করা।
- বাণিজ্য সহজীকরণ ত্বরান্বিত করা, অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করা এবং খনিজ দ্রব্য, পানি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের যৌথ উত্তোলন ও উন্নয়ন করা।
- এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা।
- চীনের সাংহাই নগরীর মতো চট্টগ্রামকে ওয়ান’সিটি এন্ড টু টাউনের আদলে গড়ে তোলা।
- বঙ্গোপসাগরকে ঘিরে আবর্তিত ব্লু ইকোনমি সমর্থন দেওয়া।
- আনোয়ারা উপজেলায় এক্সক্লুসিভ চাইনিজ ইকোনমিক ও কোরিয়ার এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনকে আরও সমর্থন জোগানো।
- চট্টগ্রাম নগরীতে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি বিদ্যমান সড়ক নেটওয়ার্কের উন্নয়ন করা।
৮. পরিবহন কেন্দ্রস্থল হিসেবে চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক শহরকে আরও বেশি শক্তিশালী করা।
৯. কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ের মধ্যে যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো।
১০. কর্ণফুলী নদীর উপর বিদ্যমান দুই সেতুর ওপর থেকে যানবাহনের চাপ কমানো।
১১. কর্ণফুলী নদীর পূর্ব পাশে নতুন শহর এবং বসতি বাড়ানো।
১২. চট্টগ্রাম বন্ধরের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করা।
১৩. ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান স্থানের সঙ্গে কর্ণফুলীর পূর্ব পাশে নির্মীয়মান শহরের সংযোগ স্থাপন এবং উন্নয়ন কাজে গতি বাড়ানো।
১৪. ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে নতুন সড়ক যোগাযোগের আরও উন্নয়ন করা।
বঙ্গবন্ধু টানেলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা
বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ চট্টগ্রামে ইকোনমিক জোনসহ বিশাল অর্থনৈতিক কমযজ্ঞ চলছে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড), বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বড়ো সার কারখানা (কাফকো), চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা লিমিটেড (সিইউএফএল) এবং চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র এলএনজি স্টেশনসহ বহুবিধ শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। মিয়ানমার হয়ে প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযুক্তিসহ ৭টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হয়েছে। এতে উন্মোচিত হতে যাচ্ছে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান বদলে যাবে।
জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে এলাকার আশপাশে শিল্পোন্নয়ন, পর্যটনশিল্পের বিকাশ এবং সহজ যোগাযোগব্যবস্থার কারণে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দারিদ্র্য দূরীকরণসহ দেশের ব্যাপক আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। ডিপিপি অনুযায়ী অর্থনৈতিক ও ইকোনমিক আইআরআর-এর পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ৬.১৯ শতাংশ এবং ১২.৪৯ শতাংশ। এছাড়া ফিনান্সিয়াল ও ইকোনমিক ‘বেনিফিট কস্ট রেশিও (বিসিআর)’-এর পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ১.০৫ এবং ১.৫। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের জিডিপিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
বিনিয়োগে প্রসার
বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে কর্ণফুলী নদীর ওপারে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ শুরু করেছে। বর্তমানে নদীর ওপারে আংশিক চালু রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড। পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে কিছু শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। টানেল সমন্বয় রেখে সরকার আনোয়ারা উপজেলায় একটি ইকোনমিক জোন স্থাপন করছে। পাশাপাশি চীনের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ‘চায়না ইকোনমিক জোন’ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বেকারত্ব দূরীকরণ
বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের ২৩টি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ৩টি বড়ো কোম্পানি, গায়া প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ও ডেইল্ড প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি তাদের ইউনিট স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। আশা করা যায়, রপ্তানিমুখী জুতা, তৈরি পোশাকশিল্প, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন ধরনের উৎপাদনমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান উক্ত এলাকায় স্থাপিত হবে। তাতে অর্থনৈতিক তৎপরতা অনেক বেড়ে যাবে। সৃষ্টি হবে প্রচুর কর্মসংস্থান। বেকার তরুণ-তরুণীদের আর বেকার হয়ে ঘরে বসে থাকবে না। কাজেই বঙ্গবন্ধু টানেল বেকারত্ব দূরীকরণসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ পরিচালিত বঙ্গবন্ধু টানেল চার লেন, ১০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন রকম সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়েছে, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। দেশের প্রধান পর্যটন এলাকাগুলোর মধ্যে কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিন, রাঙামাটি, বান্দরবানসহ পাহাড়, সাগর ও নদীর এই ত্রিমাত্রিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপযোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সহজতর যোগাযোগব্যবস্থার ক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। শুধু তা-ই নয়, এতে চট্টগ্রাম নগরীর যানজটও কমে আসবে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
বঙ্গবন্ধু টানেল অর্থাৎ কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে সুড়ঙ্গপথে নির্মাণের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে আধুনিক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে উঠেছে এবং এশিয়ান হাইওয়ের সাথে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। টানেলের পূর্ব প্রান্তে নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ৫ কিলোমিটার ও পশ্চিম প্রান্তে ৭২৭ মিটার সংযোগ সড়ক। এই সংযোগ সড়কের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলার যোগাযোগ রক্ষা পাচ্ছে। কাজেই যোগাযোগব্যবস্থার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু টানেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
উপসংহার
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগর। শুধু তা-ই নয়, চট্টগ্রাম দেশের প্রধানতম বাণিজ্যিক রাজধানী। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৫৭ লাখ ৪০ হাজার মানুষের শহর চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রধানতম অর্থনৈতিক কর্মস্থল। এসব ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু টানেল যে সুবিধা দিচ্ছে, চট্টগ্রামের মানুষ তা স্বপ্নেও ভাবেনি।
এই টানেলের নির্মাণের ফলে নদীর এপারের এবং ওপারের দুটি শহর এক সিটিতে পরিণত হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা কর্মের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এই টানেলকে ঘিরে। ব্যাপকভাবে ঘটছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। কাজেই বঙ্গবন্ধু টানেলের গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন রচনা:
- মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা
- আমাদের বিদ্যালয় রচনা
- বর্ষাকাল রচনা
- আমাদের গ্রাম রচনাআমাদের জাতীয় পতাকা রচনা
সবশেষে
অনেকেই কর্ণফুলী টানেল রচনা pdf চেয়েছেন। কর্ণফুলী টানেল রচনা class 8, আদর্শ গ্রাম রচনা ক্লাস ২, আদর্শ গ্রাম অনুচ্ছেদ রচনা, কর্ণফুলী টানেল রচনা ৩য় শ্রেণি, কর্ণফুলী টানেল রচনা ক্লাস 6, কর্ণফুলী টানেল রচনা class 10 সহ সকল চাহিদার পূরন হবে এই পোস্ট। মাই ক্লাসরুম ফেসবুক পেজ এখানে
যেভাবে খুজে পাবেন: কর্ণফুলী টানেল রচনা সহজ ভাষায় ২০০ শব্দ, ৩০০ শব্দ, ৪০০ শব্দ, ৪৫০ শব্দে লেখা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে রচনাটি লেখা হয়েছে। কর্ণফুলী টানেল রচনাটি ৬ষ্ঠ ৭ম ও ৮ম শ্রেণির জন্য ১৫ পয়েন্ট ২০ পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে। ৯ম ১০ম ১১শ ও ১২শ ক্লাসের জন্য ২৫ পয়েন্ট ও ৩০ পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে। অনেকে কর্ণফুলী টানেল রচনা pdf ডাউনলোড করতে চান। আপনি মাই ক্লাসরুম থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না। ধন্যবাদ।