রচনা

মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা ২০ ২৫ ৩০ পয়েন্ট। ‍SSC HSC

মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা ২০ ২৫ ৩০ পয়েন্ট লেখা হয়েছে Class 10, SSC, HSC পরীক্ষার্থীদের জন্য। রচনাটি খুব গুরুত্বপূর্ন। এজন্য মানব কল্যানে বিজ্ঞান ৩০ পয়েন্ট পর্যন্ত লেখা হয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা চেষ্টা করবে ৩০ পয়েন্ট লেখার। এসএসসি ও অন্যান্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা মানব কল্যানে বিজ্ঞান রচনাটি ২০ পয়েন্ট লিখলেই হবে।

অনেক শিক্ষার্থী মানব কল্যানে বিজ্ঞান রচনাটি ২০০ শব্দে খোঁজ করে। যাদের, ২০০ কিংবা ৪০০ শব্দের মধ্যে প্রয়োজন হবে তারা এখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী লিখবে। তো, শুরু করা যাক।

মানব কল্যাণে বিজ্ঞান রচনা

ভূমিকাঃ

আজকের সভ্যতা বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিবিদ্যার সভ্যতা। বিজ্ঞান মানুষকে করেছে বিপুল শক্তির অধীশ্বর এবং সভ্যতা দিয়েছে নতুন নতুন উপহার। সভ্য সমাজের সর্বত্রই বিজ্ঞানের গৌরবময়ী উপস্থিতি। নাগরিক সভ্যতার সামান্যতম অংশটিও অবৈজ্ঞানিক নয়। এর রাজপথ, যানবাহন, অট্টালিকা, শিল্প কলকারখানা—সবই বিজ্ঞানের আশীর্বাদ ছাড়া সম্ভব হতো না।

বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কারঃ

ঊনবিংশ শতাব্দীতে বাষ্প শক্তির উদ্ভবের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা শুরু হয়। জেমস ওয়াট হোয়াট ইঞ্জিন, জর্জ স্টিফেনসন রেলগাড়ি, মাইকেল ফ্যারাডে বিদ্যুৎ, টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেন। অধ্যাপক কুরি ও মাদাম কুরি রেডিয়াম আবিষ্কার করে যুগান্তর এনেছেন।

রাইট ভ্রাতৃদ্বয় উড়োজাহাজ, আলেকজান্ডার টেলিফোন, জন এল. বেয়ার্ড টেলিভিশন আবিষ্কার করেন। জগদীশচন্দ্র বসু রেডিও আবিষ্কার করে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন।

মানব কল্যাণে বিজ্ঞানঃ

প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান মানুষের অন্যতম সহায়ক। ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত মানুষের প্রতিটি কাজে বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে। ঘড়ির এলার্ম, টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, বেতার বার্তা, সংবাদপত্র—সবই বিজ্ঞানের সৃষ্টি।

বিজ্ঞান চিকিৎসা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। পেনিসিলিন, ক্লোরামাইসিন, স্টেপটোমাইসিন ইত্যাদি মহৌষধ আবিষ্কারের ফলে কোটি কোটি মানুষ দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে রক্ষা পাচ্ছে। রঞ্জনরশ্মি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি, রেডিয়াম ইত্যাদি চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে।

কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানঃ

কৃষিকাজে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ প্রচুর বেড়েছে। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও সেচ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে চাষাবাদে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে।

যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানঃ

বিজ্ঞান সময় ও দূরত্বকে জয় করেছে। রেডিও, টেলিভিশন, টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট—এসব আবিষ্কার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। কৃত্রিম উপগ্রহ ও কম্পিউটার যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে।

বিজ্ঞানের ধ্বংসাত্মক ক্রিয়াঃ

বিজ্ঞানের ধ্বংসাত্মক শক্তি যেমন কামান, বন্দুক, এটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমা ইত্যাদি মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। আইনস্টাইন আক্ষেপ করে বলেছেন, “পৃথিবী এক অনিবার্য ধ্বংসের মুখে এগিয়ে চলেছে।”

উপসংহারঃ

সভ্যতার ক্রমোন্নতির ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের তুলনা নেই। বিজ্ঞানের কল্যাণমুখিতা যদি ধ্বংসের কাজে প্রয়োগ না করে, মানবসভ্যতার ইতিহাসে অত্যুজ্জ্বল অধ্যায় সংযোজিত হবে এবং বিজ্ঞানের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে। এক ইংরেজি মনীষী বলেছেন, “We need science more than ever before.”

M@mun

Hasan Al Mamun is a dedicated teacher, blogger, and YouTuber who has achieved great success in his field. He was born to parents Shahjahan Topodar and Masrura Begum and grew up with a love for learning and exploration. After completing his Bachelor's degree, Hasan pursued a Master's degree in Accounting and excelled in his studies. He then began his career as a teacher, sharing his knowledge and passion for accounting with his students. In addition to teaching, Hasan is also an avid blogger and YouTuber, creating content that educates and inspires his viewers. His YouTube channel, "My Classroom," has grown to an impressive 240,000 subscribers, earning him a silver play button from YouTube. Hasan's interests include book reading, travelling, gardening, and writing, and he often incorporates these passions into his work. He strives to create an honest and supportive community in all of his endeavors, encouraging his followers to learn and grow alongside him. Overall, Hasan Al Mamun is a talented and dedicated individual who has made a significant impact in the fields of education, blogging, and content creation.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button