রচনা

শৈশব স্মৃতি রচনা ১৫ ২০ ২৫ পয়েন্ট। All Class & SSC HSC

শৈশব স্মৃতি রচনাটি ৩য় শ্রেনি, ৪র্থ শ্রেণি, ৫ম শ্রেণি, ষষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনি উপযোগী লেখা হয়েছে। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অনেক সময় শৈশব স্মৃতি রচনা না দিয়ে বলা হয় শৈশব স্মৃতি সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখুন। আবার চাকরি কিংবা ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে আসে শৈশব স্মৃতি সম্পর্কে অনুচ্ছেদ লিখুন। বাংলা ২য়পত্র বিষয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রচনাটি সহজ ভাষায় লিখা হয়েছে । ৩য় থেকে ৭ম শ্রেনি উপযোগী করে লেখা হয়েছে শৈশব স্মৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রচনাটি ।

শৈশব স্মৃতি রচনাটি সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে। যেন, একবার পড়লেই মুখস্থ হয়ে যায়। শৈশব স্মৃতি এর জায়গায় যদি আসে আদর্শ বিদ্যালয় তাহলেও রচনাটি লিখতে পারেন। Childhood memories essay is written for class- 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10

শৈশব স্মৃতি রচনা: হারানো দিনগুলোর গল্প

ভূমিকা: শৈশবের কথা মনে পড়লে মন কেমন অস্থির হয়ে ওঠে। সেই রঙিন দিনগুলো আজ আর নেই, কিন্তু স্মৃতির পাতায় সেগুলো যেন চিরকাল রয়ে গেছে। শৈশবের স্মৃতি হলো এক বহমান নদীর মতো, যা জীবনভর মনের গভীরে বয়ে চলে। সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে যেন মন কেমন একটি অদ্ভুত মায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। শৈশবের সেই দিনগুলোর মতো আনন্দময় দিন আর কিছুতেই ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানের কষ্ট আর বিধিবদ্ধ জীবনের চেয়ে শৈশবের সেই খোলা আকাশের স্বাধীনতা আর বিশুদ্ধ আনন্দ যেন এক আকাশের নীচে সব সুখ এনে দিয়েছিল।

শৈশবের বিশেষত্ব

জন্মের পর থেকে শৈশবের শেষ পর্যন্ত একজন মানুষ সেই মুক্ত এবং নির্ভার সময়টি উপভোগ করে। এই সময়ে থাকে খেলার স্বাধীনতা, ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ এবং সর্বত্র মুখরতা। শৈশবের সময়টিকে প্রায়শই মানুষ জীবনের সোনালী অধ্যায় হিসেবে স্মরণ করে। বাবা-মায়ের স্নেহ, শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা, আর ভাইবোনদের সাহচর্য—সবকিছু মিলে যেন এক কল্পনাতীত সুখের সময় কাটে। সেই ছোটবেলার নির্মল হাসি, খেলার মাঠে ছোটাছুটি, আর অজানা কৌতূহলের উত্তর খোঁজা—এসব মনে করলেই মনের কোণে এক মধুর অনুভূতি জাগ্রত হয়।

আমার শৈশবকাল

আমি বড় হয়েছি গ্রামে, যেখানে প্রকৃতি তার সবুজ শাড়ি পরে দোল খেতো, আর পাখির কলকাকলি ছিল আমার সঙ্গী। প্রকৃতির সাথে সেই ছোটবেলায় আমি যে বন্ধুত্ব করেছি, তা আজও আমার হৃদয়ে মলিন হয়নি। গ্রামের পথ দিয়ে হাঁটলে মনে হতো যেন স্বর্গের পথে হাঁটছি। চারপাশে সবুজের মেলা, আর মাঠের মাঝে শস্যের ঢেউ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যেতাম। প্রকৃতির সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠা আমার শৈশব যেন এক মধুময় সময় হয়ে উঠেছিল। আর সেই সময়ের বন্ধুদের সাথে ঘরবাড়ি পেরিয়ে খেলা, ছোটাছুটি—এসব যেন এক স্বপ্নময় জীবনের কাহিনি।

শৈশবের লেখাপড়া

শৈশবের পাঠশালা আমার জন্য ছিল পুরো পৃথিবী। কৌতূহল ছিল অফুরন্ত, প্রতিনিয়ত নতুন কিছু জানার জন্য ব্যাকুল থাকতাম। ছোটবেলায় বাবা-মা এবং বড় ভাইবোনদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করতাম। স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ থাকত, কারণ সেখানেই আমি নতুন বন্ধু আর শিক্ষকদের সাহচর্যে অনেক কিছু শিখতাম। বিদ্যালয়ের প্রতিটি দিন আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতার দিগন্ত খুলে দিতো। পাঠশালায় জ্ঞানের আলো জ্বলে ওঠা সেই দিনগুলো আজও আমার মনে এক স্মৃতির মণিমালা হয়ে রয়েছে।

শৈশবের খেলাধুলা

শৈশবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ ছিল খেলাধুলা। গ্রামের অন্যান্য ছেলেদের সাথে বিভিন্ন গ্রামীণ খেলা খেলতাম, যার মধ্যে ছিল কড়িখেলা, কানামাছি, গোল্লাছুট, হাডুডু ইত্যাদি। পড়াশুনার পর বিকেলের সময়টা বরাদ্দ থাকত খেলাধুলার জন্য। সেই খেলার আনন্দ আজকের ব্যস্ত জীবনে আর কোথাও খুঁজে পাই না। শৈশবের মাঠের সেই খেলার দিনগুলোর স্মৃতি এখনো মনে করলেই মনে হয়, আজও যদি সময়টাকে ধরে রাখতে পারতাম!

বিদ্যালয়ের বিদায়ের স্মৃতি

বিদ্যালয়ের শেষ দিনগুলো মনে পড়লেই মনটা বিষণ্ণ হয়ে ওঠে। শিক্ষক ও বন্ধুদের সাহচর্য ছেড়ে চলে যাওয়ার কষ্ট সেদিনের মতো আর কখনো অনুভব করিনি। ছোটবেলায় স্কুলের মাঠে বন্ধুদের সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত ছিল এক অপূর্ব আনন্দের স্মৃতি। বিদ্যালয়ের বিদায়ের সময় সেই দিনগুলো আর কখনো ফিরে আসবে না, তবে তাদের স্মৃতি আমার হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে। এই স্মৃতি মনে পড়লে মনে হয় যে, জীবন যেমনই হোক না কেন, শৈশবের সেই আনন্দময় দিনগুলোই সবচেয়ে মূল্যবান।

উপসংহার

পৃথিবীর স্বাভাবিক নিয়মে সময় বয়ে চলে, আর আমরা সবাই ধীরে ধীরে বড় হয়ে যাই। সময়ের বহমানতায় শৈশব, কৈশোর ও যৌবন পার করে আমরা প্রাপ্তবয়স্ক হই। কিন্তু শৈশবের সেই দিনগুলো আজও মনে দোলা দেয়। সেই স্মৃতির প্রতিচ্ছবি আমার মনের গভীরে একটি সুন্দর পৃথিবীর ছবি আঁকে। শৈশবের সেই অমলিন আনন্দ আর মধুর স্মৃতিগুলো কখনো মুছে যাওয়ার নয়। তাই আমরা যেন আমাদের শৈশবের স্মৃতিগুলো ভালোভাবে স্মরণে রাখি এবং তা থেকে প্রেরণা গ্রহণ করি। শৈশবের সেই নির্মল দিনগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জীবনের প্রকৃত অর্থ আসলে নির্মল আনন্দ আর নির্ভেজাল বন্ধুত্বেই নিহিত।

আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন রচনা:

সবশেষে

অনেকেই শৈশব স্মৃতি রচনা pdf চেয়েছেন। শৈশব স্মৃতি রচনা class 8, আদর্শ গ্রাম রচনা ক্লাস ২, আদর্শ গ্রাম অনুচ্ছেদ রচনা, শৈশব স্মৃতি রচনা ৩য় শ্রেণি, শৈশব স্মৃতি রচনা ক্লাস 6, শৈশব স্মৃতি রচনা class 10 সহ সকল চাহিদার পূরন হবে এই পোস্ট। মাই ক্লাসরুম ফেসবুক পেজ এখানে

যেভাবে খুজে পাবেন: শৈশব স্মৃতি রচনা সহজ ভাষায় ২০০ শব্দ, ৩০০ শব্দ, ৪০০ শব্দ, ৪৫০ শব্দে লেখা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে রচনাটি লেখা হয়েছে। শৈশব স্মৃতি রচনাটি ৬ষ্ঠ ৭ম ও ৮ম শ্রেণির জন্য ১৫ পয়েন্ট ২০ পয়েন্ট  করে লেখা হয়েছে। ৯ম ১০ম ১১শ ও ১২শ ক্লাসের জন্য ২৫ পয়েন্ট ও ৩০ পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে। অনেকে শৈশব স্মৃতি রচনা pdf ডাউনলোড করতে চান। আপনি মাই ক্লাসরুম থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না।

১১ থেকে ২০ গ্রেডের অনেক চাকরি পরীক্ষা লিখিত হয়। লিখিত চাকরী পরীক্ষাগুলোতে রচনা লিখতে হয়। লিখিত চাকরি পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য উপযোগী করে এই রচনাগুলো লেখা হয়েছে। চাকরী পরীক্ষা যেমন- ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা, ইউনিয়ন সমাজকর্মীর জন্য বাংলা রচনা, খাদ্য অধিদপ্তর এর জন্য বাংলা রচনা প্রস্তুতি, বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ পরীক্ষা প্রস্তুতি, বিসিএস লিখিত প্রস্তুতি, ব্যাংক লিখিত প্রস্তুতি সহ সকল সরকারি ও বেসরকারি চাকরি পরীক্ষার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।

M@mun

Hasan Al Mamun is a dedicated teacher, blogger, and YouTuber who has achieved great success in his field. He was born to parents Shahjahan Topodar and Masrura Begum and grew up with a love for learning and exploration. After completing his Bachelor's degree, Hasan pursued a Master's degree in Accounting and excelled in his studies. He then began his career as a teacher, sharing his knowledge and passion for accounting with his students. In addition to teaching, Hasan is also an avid blogger and YouTuber, creating content that educates and inspires his viewers. His YouTube channel, "My Classroom," has grown to an impressive 240,000 subscribers, earning him a silver play button from YouTube. Hasan's interests include book reading, travelling, gardening, and writing, and he often incorporates these passions into his work. He strives to create an honest and supportive community in all of his endeavors, encouraging his followers to learn and grow alongside him. Overall, Hasan Al Mamun is a talented and dedicated individual who has made a significant impact in the fields of education, blogging, and content creation.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button