রচনা

শ্রমের মর্যাদা রচনা ক্লাস 7 8 9 10 ‍SSC HSC। ২০-৩০ প্যারা pdf

শ্রমের মর্যাদা রচনাটি ৩য় শ্রেনি, ৪র্থ শ্রেণি, ৫ম শ্রেণি, ষষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনি উপযোগী লেখা হয়েছে। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অনেক সময় শ্রমের মর্যাদা রচনা না দিয়ে বলা হয় শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখুন। আবার চাকরি কিংবা ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে আসে শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে অনুচ্ছেদ লিখুন। বাংলা ২য়পত্র বিষয় থেকে শ্রমের মর্যাদা রচনাটি সহজ ভাষায় লিখা হয়েছে । ৩য় থেকে ৭ম শ্রেনি উপযোগী করে লেখা হয়েছে।

শ্রমের মর্যাদা রচনাটি সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে। যেন, একবার পড়লেই মুখস্থ হয়ে যায়। শ্রমের মর্যাদা এর জায়গায় যদি আসে আদর্শ বিদ্যালয় তাহলেও রচনাটি লিখতে পারেন। Flood Effect of Bangladesh essay is written for class- 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10

শ্রমের মর্যাদা অথবা, সভ্যতা বিকাশে শ্রমের অবদান

ভূমিকা : শ্রমই বর্তমান দুনিয়ায় সংগ্রামের প্রধান হাতিয়ার। বিশ শতকের সমাপ্তিতে সভ্যতার এ চরম সমুন্নতির দিকে তাকিয়ে আমরা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই। সভ্যতার এ চরম বিকাশের মূলে রয়েছে যুগ-যুগান্তরের লক্ষ কোটি মানুষের অক্লান্ত শ্রম। মানুষ তার শ্রমে গড়ে তুলেছে সভ্যতার এ তিলোত্তমা ভুবন।

তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পায়নি। বেঁচে থাকার জন্য প্রত্যেক মানুষকে জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয় এবং এ যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার প্রধান হাতিয়ার হলো পরিশ্রম। সভ্যতার আদি পর্ব থেকে চলমান এ যুদ্ধে মানুষ প্রতিনিয়ত আপন শ্রম ও সাধনায় জয়ী হয়ে অস্তিত্বকে রক্ষা করেছে। মানুষ জানে, শ্রমই হচ্ছে অমরতা অর্জনের প্রধান সোপান।

পৃথিবীতে শ্রমের মর্যাদা

মানবসভ্যতার প্রতিটি স্তরে শ্রমের অবদান রয়েছে। সেই আদিম যুগে মানুষ কায়িক ও মানসিক শ্রমে তীর ও নৌকা চালানো শিখেছে; শিখেছে পশু শিকার করে মাংস খাওয়া। সভ্যতার কৈশোরে মানুষ চাষাবাদ শুরু করেছে। এরপর শিখেছে প্রাসাদ নির্মাণ, নগরপত্তন, পথঘাট তৈরি। সাম্প্রতিক যুগে মানুষ মানসিক ও কায়িক শ্রম দ্বারা সভ্যতার চরম শিখরে আরোহণ করেছে।

শ্রমের প্রকারভেদ

শ্রম মূলত দুই ধরনের। কায়িক শ্রম এবং মানসিক শ্রম। মানবসভ্যতার বিকাশে এ উভয় প্রকার শ্রমের অবদান অনস্বীকার্য। উভয় প্রকার শ্রমই সুফল বয়ে আনে। জগতের সুখ-শান্তি, ঐশ্বর্য, সম্মান, প্রতিপত্তি সবকিছু এ শ্রমের ওপর নির্ভরশীল। বৈজ্ঞানিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ এবং ব্যবস্থাপনাবিদদের পরিশ্রম মূলত মানসিক।

তবে তাদের এ মানসিক শ্রমকে বাস্তবে রূপায়িত করতে তারা কায়িক শ্রমেও অংশগ্রহণ করেন। বাঁধাধরা নিয়মের মধ্যে না হলেও তাদের কায়িক শ্রম অবহেলার নয়। রুটিনমাফিক নিয়মিত কায়িক শ্রমে অংশ নেয় সমাজের কুলি-মজুর, শ্রমিক প্রভৃতি সাধারণ জনগণ। অর্থ ও সামাজিক পদমর্যাদা তাদের কম কিন্তু সভ্যতার ভিত্তি গড়ে উঠেছে তাদেরই ঘামে, রক্তে তথা শ্রমে।

শ্রমের সুফল

বস্তুত কারো শ্রম বিফলে যায় না। অন্যদিকে শ্রম ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা জাতি উন্নতি করতে পারে না। হযরত মুহম্মদ (স.) হেরা পর্বতের গুহায় রাত-দিন অতিবাহিত করেছেন। সেখানে তাঁর দৈহিক ও মানসিক শ্রম ছিল বিস্ময়কর। সাধারণ সৈনিক থেকে নাসির শাহ হয়েছিলেন সম্রাট। দাস কুতুবুদ্দিন হয়েছিলেন দিল্লির সুলতান আর ঈশ্বরচন্দ্র হয়েছিলেন বিদ্যাসাগর।

শ্রমের গুণে আহমেদাবাদ টেক্সটাইল মিলের সামান্য শ্রমিক থেকে স্বাধীন ভারত গড়ার অন্যতম কারিগর হয়েছিলেন সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল। শ্রমের গুণেই বোম্বাই আদালতের সাধারণ আইনজীবী মুহম্মদ আলী জিন্নাহ স্বাধীন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শ্রমের এরূপ উৎকৃষ্ট উদাহরণ অজস্র আছে। মূলত অসাধারণ সাফল্যের জন্য অবশ্যই কঠোর শ্রমের দরকার। এ জন্যই প্রবাদ আছে—

“পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি।”

শ্রমের অবমাননা

শ্রম সম্মান হানিকর নয়। শ্রমকে অস্বীকার করা মানেই নির্মল আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করা এবং নিজেকে শয়তানের দোসরে পরিণত করা। একমাত্র শ্রমেই চিত্তশক্তি এবং আত্মার জাগরণ নিহিত। অথচ আমাদের দেশে কায়িক শ্রমকে আজও অমর্যাদাকর বিবেচনা করা হয়। ফলে ক্রমশ আমরা উন্নত দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়ছি। সর্বাধিক, পার্থিব উন্নতি মূলত শ্রম সামর্থ্যের ওপরই প্রতিষ্ঠিত। কায়িক শ্রম আত্মসম্মানের পক্ষে বিন্দুমাত্র হানিকর নয় বরং মানবসমাজে উন্নতির শ্রেষ্ঠ উপায়।

জাতীয় জীবনে শ্রমের মর্যাদা

আমরা স্বাধীন বাংলা দেশের নাগরিক। দেশ নানা সমস্যায় জর্জরিত। জাতির এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করা। লক্ষ করলে দেখা যায় ব্রিটেন, রাশিয়া, আমেরিকা, জাপান, উন্নতির মূলে আছে কঠোর পরিশ্রম। তাই আমাদের জাতীয় জীবনে শ্রমের মূল্যায়ন করা জরুরি।

উপসংহার

যুগের পর যুগ, শতাব্দীর পর শতাব্দী অতিক্রান্ত হয়েছে। শত শত সাম্রাজ্যের ধ্বংসস্তূপের ওপরে শ্রমিক সমাজ সভ্যতার বেদিমূলে অকাতরে, তাদের শ্রম ঢেলে দিয়ে নীরবে কাজ করে এসেছে। তাদের কর্মের জয়োল্লাসে মুখরিত পৃথিবীর পথ-প্রান্তর। কিন্তু তারা, যে তিমিরে, সেই তিমিরেই রয়ে গেছে।

আজ পৃথিবীতে নবযুগ এসেছে। তাই বৃথা আভিজাত্যের ভাব ত্যাগ করে শ্রমকে মর্যাদার বস্তু বলে গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি মানুষকে স্মরণ রাখতে হবে একমাত্র শ্রম-সাধনার মাধ্যমেই মানুষ এ বিশ্বে নিজ ভাগ্য গড়ে তুলতে পারে।

আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন রচনা:

সবশেষে

অনেকেই শ্রমের মর্যাদা রচনা pdf চেয়েছেন। শ্রমের মর্যাদা রচনা class 8, আদর্শ গ্রাম রচনা ক্লাস ২, আদর্শ গ্রাম অনুচ্ছেদ রচনা, শ্রমের মর্যাদা রচনা ৩য় শ্রেণি, শ্রমের মর্যাদা রচনা ক্লাস 6, শ্রমের মর্যাদা রচনা class 10 সহ সকল চাহিদার পূরন হবে এই পোস্ট। মাই ক্লাসরুম ফেসবুক পেজ এখানে

যেভাবে খুজে পাবেন: শ্রমের মর্যাদা রচনা সহজ ভাষায় ২০০ শব্দ, ৩০০ শব্দ, ৪০০ শব্দ, ৪৫০ শব্দে লেখা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে রচনাটি লেখা হয়েছে। শ্রমের মর্যাদা রচনাটি ৬ষ্ঠ ৭ম ও ৮ম শ্রেণির জন্য ১৫ পয়েন্ট ২০ পয়েন্ট  করে লেখা হয়েছে। ৯ম ১০ম ১১শ ও ১২শ ক্লাসের জন্য ২৫ পয়েন্ট ও ৩০ পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে। অনেকে শ্রমের মর্যাদা রচনা pdf ডাউনলোড করতে চান। আপনি মাই ক্লাসরুম থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না। ধন্যবাদ।

For Online Search: শ্রমের মর্যাদা রচনা ক্লাস ১০, শ্রমের মর্যাদা রচনা ক্লাস 8, শ্রমের মর্যাদা রচনা ২০ প্যারা, শ্রমের মর্যাদা রচনা সহজ, শ্রমের মর্যাদা রচনা ক্লাস 6, শ্রমের মর্যাদা রচনা ক্লাস 5, শ্রমের মর্যাদা রচনা pdf, শ্রমের মর্যাদা রচনা class 7

M@mun

Hasan Al Mamun is a dedicated teacher, blogger, and YouTuber who has achieved great success in his field. He was born to parents Shahjahan Topodar and Masrura Begum and grew up with a love for learning and exploration. After completing his Bachelor's degree, Hasan pursued a Master's degree in Accounting and excelled in his studies. He then began his career as a teacher, sharing his knowledge and passion for accounting with his students. In addition to teaching, Hasan is also an avid blogger and YouTuber, creating content that educates and inspires his viewers. His YouTube channel, "My Classroom," has grown to an impressive 240,000 subscribers, earning him a silver play button from YouTube. Hasan's interests include book reading, travelling, gardening, and writing, and he often incorporates these passions into his work. He strives to create an honest and supportive community in all of his endeavors, encouraging his followers to learn and grow alongside him. Overall, Hasan Al Mamun is a talented and dedicated individual who has made a significant impact in the fields of education, blogging, and content creation.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button