সমাস নির্ণয়ের শর্টকাট টেকনিক। গুরুত্বপূর্ন সমাস pdf
সমাস- শিখতে লাগে কয়মাস? সমাস নিয়ে খুব ছোট বেলাতেই এক ধরনের ভয় কাজ করতো। এজন্য বাংলা ২য় পত্রের স্যারের কাছে অনেক কথা শুনতাম। এরপরও সমাসকে আমার কঠিন মনে হয়েছে। ইনশা আল্লাহ, আজকের পর থেকে সমাস আর কঠিন মনে হবেনা। আমরা সমাস কাকে বলে, কত প্রকার ও কিকি? সমাসের শর্টকাট টেকনিক শিখবো, যেন সমাস আর কোনভাবেই ভুলে না যাই। তো চলুন শুরু করা যাক-
সমাস কত প্রকার ও কি কি?
সমাস ৬ প্রকার-
১) দ্বন্দ্ব সমাস
২) দ্বিগু সমাস
৩) কর্মধারয় সমাস
৪) বহুব্রীহি সমাস
৫) অব্যয়ীভাব সমাস
৬) তৎপুরুষ সমাস
এবার আমরা সমাসের শর্টকাট টেকনিক মুখস্ত করে নিবো। সমাসের এই শটকাট টেকনিক শিখে সমাস সহজে চিনতে পারবো এবং ছয় প্রকার সমাসের নামও শেখা হবে।
সমাসে শর্টকাট টেকনিক
ও–এবং–আর মিলে যদি হয় “দ্বন্দ্ব“,
সমাহারে “দ্বিগু” হলে নয় সেটা মন্দ |
যে–যিনি–যেটি–যেটা– তিনি “কর্মধারায়“,
যে–যার শেষে থাকলে তারে বহুব্রীহি কয়।
অব্যয়ের অর্থ প্রাধান্য পেলে “অব্যয়ী” মেলে,
বিভক্তি লোপ পেলে তাকে “তৎপুরুষ” বলে।
সমাসের শর্টকাট টেকনিক ঠোটস্থ করে নিন। এবার জেনে নেয়া যাক-
সমাস কাকে বলে এবং উদাহরন
সমাস হলো দুটি বা ততোধিক শব্দের মিলনে একক নতুন শব্দের সৃষ্টি।
বাংলা ব্যাকরণে মোট ছয় প্রকার সমাস রয়েছে:
১) দ্বন্দ্ব সমাস: দুটি বা ততোধিক সমার্থক, বিপরীতার্থক, বা সম্বন্ধার্থক শব্দের মিলনে সমাস হয়।
- উদাহরণ: রাম-লক্ষ্মণ, দিন-রাত, মা-বাবা, জল-স্থল, ভালো-মন্দ।
২) দ্বিগু সমাস: একই শব্দের পুনরাবৃত্তিতে সমাস হয়।
- উদাহরণ: ত্রিপুর, ষড়দর্শন, ষাটতক, নীলনীল, ঝিরিঝিরি।
৩) কর্মধারয় সমাস: বিশেষ্যের সাথে বিশেষণ, বিশেষ্যভাবাপন্ন পদ, বা ক্রিয়াপদের সমাস হয়।
- উদাহরণ: নীলকমল, মহাকবি, চাঁদনি রাত, খাওয়া-দাওয়া, হাঁটাহাঁটি।
৪) বহুব্রীহি সমাস: বিশেষ্যের সাথে বিশেষ্য, বিশেষ্যভাবাপন্ন পদ, বা ক্রিয়ার সমাস হয়। পূর্বপদের অর্থই প্রধান থাকে।
- উদাহরণ: কালকুট, দেবতারাজ, নীলকণ্ঠ, হাতিদাঁত, ঘোড়াসওয়ার।
৫) অব্যয়ীভাব সমাস: অব্যয়ের সাথে বিশেষ্য, বিশেষ্যভাবাপন্ন পদ, বা ক্রিয়ার সমাস হয়।
- উদাহরণ: দ্রুতগামী, সত্যবাদী, দুপুরবেলা, সাবধানে, ধীরে ধীরে।
৬) তৎপুরুষ সমাস: বিশেষ্যের সাথে বিশেষ্য, বিশেষ্যভাবাপন্ন পদ, ক্রিয়া, অব্যয়, বা পুরুষের সমাস হয়। পরপদের অর্থই প্রধান থাকে।
- উদাহরণ: রাজা + পুরুষ = রাজপুরুষ (কর্মকারক), কাঠ + দিয়ে = কাঠ দিয়ে (রণকারক), ঢাকা + শহর = ঢাকার শহর (সম্বন্ধকারক)
বিগত সালে আসা গুরুত্বপূর্ন সমাস
১. ব্যাসবাক্যের অপর নাম: বিগ্রহ বাক্য
২. ‘প্রগতি’ কোন সমাসের উদাহরণ: প্রাদি সমাস
৩. ‘বহুব্রীহি’ শব্দের অর্থ: বহু ধান
৪. ‘কাজলকালো’ – এর সঠিক ব্যাসবাক্য: কাজলের ন্যায় কালো
৫. ‘জীবননাশের আশঙ্কায় যে বীমা = জীবনবীমা’ কোন কর্মধারয় সমাস: মধ্যপদলোপী
৬. ‘অলুক’ কথাটি কয়টি সমাসের সাথে যুক্ত: তিনটি
৭. ‘জলচর’ কোন তৎপুরুষ সমাস: উপপদ তৎপুরুষ
৮. ‘উপনদী’ সমস্তপদের ‘উপ’ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে: ক্ষুদ্র
৯. ‘রূপক কর্মধারয়’ – এর সমস্তপদ কোনটি: বিষাদসিন্ধু
১০. ‘পঙ্কজ’ কোন তৎপুরুষ নিষ্পন্ন শব্দ: উপপদ তৎপুরুষ
১১. কোন সমাসবদ্ধ পদটি দ্বিগু সমাসের অন্তর্ভুক্ত: তেপান্তর
১২. সমাস কত প্রকার: ছয় প্রকার
১৩. ‘চিরসুখী’ – এর ব্যাসবাক্য: চিরকাল ব্যাপিয়া সুখী
১৪. কর্মধারয় সমাসে কোন পদ প্রধান: পরপদ
১৫. অর্থ প্রাধান্যের দিক থেকে কর্মধারয় – এর বিপরীত সমাস কোনটি: বহুব্রীহি
বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা সমাস
১৬. উপমান কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ: কাজলকালো
১৭. ‘নীল যে পদ্ম’ – এর সমাস: কর্মধারয় সমাস
১৮. ‘চাঁদমুখ’ – এর ব্যাসবাক্য: চাঁদের ন্যায় মুখ
১৯. দ্বিগু সমাস নিষ্পন্ন পদটি কোন পদ হয়: বিশেষ্য
২০. ‘আশীবিষ’ – কোন সমাস: ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি
২১. কোনটি উপমান কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ: অরুণরাঙা
২২. সমাসের রীতি বাংলায় এসেছে কোন ভাষা থেকে: সংস্কৃত
২৩. মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস কোনটি: পলান্ন
২৪. নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি সমাসের উদাহরণ কোনটি: দ্বীপ
২৫. কোনটিতে উপমান ও উপমেয়ের মধ্যে অভিন্নতা কল্পনা করা হয়: রূপক কর্মধারয়
২৬. কোন উদাহরণটি অলুক তৎপুরুষ সমাসের: গায়ে পড়া
২৭. ‘ফুলকুমারী’ সমস্তপদের সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি: ফুলের ন্যায় কুমারী
২৮. ‘কমলাক্ষ’ – এর সঠিক ব্যাসবাক্য হলো: কমলের ন্যায় অক্ষি যার
২৯. ‘নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম’ কোন সমাস: কর্মধারয় সমাস
৩০. ‘শ্রীকান্ত’ – এর সমাস: তৎপুরুষ সমাস (কর্মধারয়)
গুরুত্বপূর্ন সমাস
৩১. তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাসের ‘সমস্তপদ’ কোনটি: মনগড়া
৩২. রূপক কর্মধারয় সমাসের ব্যাসবাক্যে কোনটি থাকে: ন্যায়
৩৩. ‘হাট-বাজার’ কোন অর্থে দ্বন্ধ সমাস: সমার্থে
৩৪. সমাস সাধিত পদ কোনটি: দম্পতি
৩৫. ‘পঞ্চনদ’ সমস্তপদটির সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি: পঞ্চ নদীর সমাহার
৩৬. দ্বিগু সমাসকে অনেক ব্যাকরণবিদ কোন সমাসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন: কর্মধারয়
৩৭. ‘কপালকঙ্কণ’ – শব্দের ব্যাসবাক্য কোনটি: কপালের কঙ্কণ
৩৮. ‘চন্দ্রমুখ’ – শব্দের ব্যাসবাক্য কোনটি: মুখ চন্দ্রের ন্যায়
৩৯. ‘মন মাঝি’ – এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি: মনরূপ মাঝি
৪০. বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ এবং পরপদ কোনোটিই যদি বিশেষণ না হয় তবে তাকে কী বলে: ব্যধিকরণ বহুব্রীহি
৪১. কোনটি খাঁটি বাংলা কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ: নরাধম
৪২. দিল্লীশ্বর কিসের উদাহরণ: তৎপুরুষ
৪৩. পরবর্তী ক্রিয়ামূলের সঙ্গে কৃৎপ্রত্যয় যুক্ত হয়ে কোন সমাস গঠিত হয়: উপমিত কর্মধারয়
৪৪. সাধারণ ধর্মবাচক পদের সাথে উপমানবাচক পদের যে সমাস হয় তাকে কোন কর্মধারয় বলে: উপমান কর্মধারয়
৪৫. তৎপুরুষ সমাস কয় প্রকার: নয়
৪৬. কোনটি সমার্থক দ্বন্ধ সমাস: কাগজ-পত্র
৪৭. ‘বিশ্ববিখ্যাত’ সমস্তপদটি কোন সমাস নির্দেশ করে: সপ্তমী তৎপুরুষ
৪৮. কর্মধারয় সমাস নয় কোনটি: মধুমাখা
৪৯. পূর্বপদের প্রাধান্য থাকে কোন সমাসে: অব্যয়ীভাব সমাসে
৫০. যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে তাকে কী বলে: দ্বন্ধ সমাস
সমাস নোট
৫১. কোনটিতে পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পায়: পঞ্চ নদীর সমাহার
৫২. ‘হংসডিম্ব’ – এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি: হংস ও ডিম্ব
৫৩. নিচের কোনটি উপমিত কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ: করপল্লব
৫৪. ‘ঈষৎ’ অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস কোনটি: আরক্তিম
৫৫. ‘অন্তরীপ’ কোন বহুব্রীহি সমাসের সমস্ত পদ: নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি
৫৬. ‘উদ্বেল’ কী অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস: অতিক্রম অর্থে
৫৭. ‘প্রতিদ্বন্ধী’ অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস কোনটি: প্রত্যুত্তর
৫৮. ‘বিদ্যাহীন’ শব্দটি কোন ধরনের সমাস হবে: তৃতীয়া তৎপুরুষ
৫৯. কোনটি ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের উদাহরণ: অভাব
৬০. সত্য বলে যে = সত্যবাদী – এটি কোন সমাসের অন্তর্গত: উপপদ তৎপুরুষ
৬১. নিচের কোনটি ‘বিপরীতার্থক দ্বন্ধ’? জমা-খরচ
৬২. উপকরণবাচক বিশেষ্য পদ পূর্বপদে বসে কোন তৎপুরুষ সমাস হয়: কারণকার্য সমাস
৬৩. ‘বিশ্ববিখ্যাত’ কীভাবে বিশেষ্যে পরিণত হয়? উপপদ তৎপুরুষ সমাসের মাধ্যমে
৬৪. ‘হাট-বাজার’ কোন সমাস: দ্বন্ধ
৬৫. ‘কালক্রম’ – এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি: সময়ের ক্রম
৬৬. পরপদে রাজি, গ্রাম, বৃন্দ, যূথ প্রভৃতি কোন সমাসে আছে: ষষ্ঠী তৎপুরুষ
৬৭. ‘রাজপথ’ – এর ব্যাসবাক্য কোনটি: পথের রাজা
৬৮. ‘চিরকাল ব্যাপীয়া সুখী = চিরসুখী’ =- এটি কোন সমাসের উদাহরণ: মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
৬৯. ‘বিরানব্বই’ কোন সমাসের উদাহরণ: নিত্য সমাস
৭১. ‘তুষারশুভ্র’ – এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি: তুষারের ন্যায় শুভ্র
৭২. তৎপুরুষ সমাসে কোন পদ প্রধান: পরপদ
৭৩. নিচের কোন সমস্ত পদটি দ্বিগু সমাস: তেমাথা
৭৪. দ্বন্ধ সমাসে পূর্বপদ ও পরপদের সম্বন্ধ বুঝাতে ব্যাসবাক্যে কয়টি অব্যয়পদ ব্যবহৃত হয়: তিনটি
৭৫. কোনটি রূপক কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ নয়: তুষারশুভ্র
৭৬. খাঁটি বাংলা উপপদ তৎপুরুষ কোনটি: মাছিমারা
৭৭. ‘মাদক দ্বারা আসক্ত = মাদকাসক্ত’ – এটি কোন সমাস: তৎপুরুষ
৭৮. ‘পকেটমার’ – কি ধরনের সমাস: কর্মধারয়
৭৯. ‘বিষাদসিন্ধু’ সমস্তপদটির ব্যাসবাক্য কোনটি: বিষাদ রূপ সিন্ধু
৮০. উপমান কর্মধারয় সমাসের সমস্তপদ কোনটি: পান্নাসবুজ
আরো দেখুন: বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা ৫০টি বাগধারা
সমাস নির্নয় কর
৮১. প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি সমাস কোনটি: একঘরে
৮২. ‘জায়া’ শব্দের স্থলে বহুব্রীহি সমাসে কোনটি ব্যবহৃত হয়: জানি
৮৩. অব্যয়ীভাব সমাসে কোন পদ প্রধান: পূর্বপদ
৮৪. ‘মহৎমন’ শব্দটি কোন সমাসের উদাহরণ: তৎপুরুষ (কর্মধারয়)
৮৫. ‘সন্ধ্যারাগ’ – এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি: সন্ধ্যার ন্যায় রাগ
৮৬. ‘মনগড়া’ কোন সমাস: তৎপুরুষ
৮৭. খাতা-পত্র কোন অর্থে দ্বন্ধ সমাস: সমার্থক
৮৮. নিচের কোনটি দ্বিগু সমাসের উদাহরণ: শতাব্দী
৮৯. ‘বালিকা বিদ্যালয়’ কোন সমাস: চতুর্থী তৎপুরুষ
৯০. সাধারণত চ্যুত, জাত, ভীত, গৃহীত অর্থে যে সমাস হয়তার নাম : পঞ্চমী তৎপুরুষ
সমাস pdf
৯১. “মহৎমন যার” – এর সঠিক সমাসবদ্ধ পদ কোনটি: মহৎমনা
৯২. ‘যথাযোগ্য’ – শব্দটি কী অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়েছে: অনিতক্রম্যতা
৯৩. ‘মুখচন্দ্র’ – এর ব্যাসবাক্য কোনটি: মুখ চন্দ্রের ন্যায়
৯৪. সমাস শব্দের অর্থ কী: সংক্ষেপ, মিলন ও একপদীকরণ
৯৫. কোনটি নিত্য সমাসের উদাহরণ: গ্রমান্তর
৯৬. যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কোন সমাস বলে: কর্মধারয় সমাস
৯৭. কোনটি নিত্য সমাসের সমস্তপদ: দেশান্তর
৯৮. ‘জনৈক’ এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি: জন যে এক
সবশেষ
মাই ক্লসরুমের আজকের আয়োজনে ছিল যেকোন পরীক্ষায় আসার মতো গুরুত্বপূর্ন সমাস। সমাস নির্ণয় করার শর্টকাট টেকনিকসহ সমাসের এই নোটটি শেয়ার করুন। সমাস নির্ণয়ের কৌশল, সমাসের শ্রেণিবিভাগ, সমাসের প্রকারভেদ এবং সমাসের উদাহরন আশা করছি আপনার কাজে আসবে। নিজেকে আপডেট রাখতে চোখ রাখুন ফেসবুকে। প্রতিদিনের সাধারণ জ্ঞান পেতে ক্লিক করুন এখানে।
সমাস নিয়ে FAQ’s
প্রশ্ন: মেরি ক্রিসমাস সমাস কিনা?
উত্তর: না, মেরি ক্রিসমাস সমাস নয়।
কারণ: এটি একটি বাংলা শব্দ নয়। এটি ইংরেজি ভাষার একটি বাক্য।
প্রশ্ন: বেতার কোন ধরণের সমাস?
উত্তর: বেতার অব্যয়ীভাব সমাস।
ব্যাখ্যা: “বে” অব্যয় + “তার” বিশেষ্য। “তার” শব্দের অর্থ “ধারণকারী”। “বেতার” = “শব্দ ধারণকারী”।
প্রশ্ন: সোনামুখী কোন ধরণের সমাস?
উত্তর: সোনামুখী কর্মধারয় সমাস।
ব্যাখ্যা: “সোনা” বিশেষ্য + “মুখী” বিশেষ্য। “সোনামুখী” = “যার মুখ সোনার মত”।
প্রশ্ন: ফুলকুমারী কোন ধরণের সমাস?
উত্তর: ফুলকুমারী কর্মধারয় সমাস।
ব্যাখ্যা: “ফুল” বিশেষ্য + “কুমারী” বিশেষ্য। “ফুলকুমারী” = “যে কুমারী ফুলের মত”।
প্রশ্ন: ইন্দ্রজিৎ কোন ধরণের সমাস?
উত্তর: ইন্দ্রজিৎ তৎপুরুষ সমাস (কর্মকারক)।
ব্যাখ্যা: “ইন্দ্র” বিশেষ্য + “জিৎ” ক্রিয়া। “ইন্দ্রজিৎ” = “যিনি ইন্দ্রকে জয় করেছেন”।
সমাস নিয়ে আপনার প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: গোবর গণেশ কোন ধরণের সমাস?
উত্তর: গোবর গণেশ দ্বন্দ্ব সমাস (সম্বন্ধার্থক)।
ব্যাখ্যা: “গোবর” বিশেষ্য + “গণেশ” বিশেষ্য। “গোবর গণেশ” = “গণেশের গোবর”।
প্রশ্ন: দশানন কোন ধরণের সমাস?
উত্তর: দশানন কর্মধারয় সমাস।
ব্যাখ্যা: “দশ” বিশেষ্য + “অনন” বিশেষ্য। “দশানন” = “যার দশটি মুখ আছে”।
প্রশ্ন: জনশ্রুতি কোন ধরণের সমাস?
উত্তর: জনশ্রুতি বহুব্রীহি সমাস।
ব্যাখ্যা: “জন” বিশেষ্য + “শ্রুতি” বিশেষ্য। “জনশ্রুতি” = “জনগণের মধ্যে প্রচলিত ধারণা”।
প্রশ্ন: সিংহাসন কোন ধরণের সমাস?
উত্তর: সিংহাসন তৎপুরুষ সমাস (অধিকরণকারক)।
ব্যাখ্যা: “সিংহ” বিশেষ্য + “আসন” বিশেষ্য। “সিংহাসন” = “সিংহের আসন”।
প্রশ্ন: চন্দ্রমুখ কোন ধরণের সমাস?
উত্তর: চন্দ্রমুখ কর্মধারয় সমাস।
ব্যাখ্যা: “চন্দ্র” বিশেষ্য + “মুখ” বিশেষ্য। “চন্দ্রমুখ” = “যার মুখ চন্দ্রের মত”।
প্রশ্ন: রাজপথ কোন ধরণের সমাস?
উত্তর: রাজপথ তৎপুরুষ সমাস (ষষ্ঠীকারক)।
ব্যাখ্যা: “রাজা” বিশেষ্য + “পথ” বিশেষ্য। “রাজপথ” = “রাজার পথ”।