রচনা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা। সকল শ্রেনির জন্য ১৫ থেকে ৩০ পয়েন্ট

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনাটি ৩য় শ্রেনি, ৪র্থ শ্রেণি, ৫ম শ্রেণি, ষষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনি উপযোগী লেখা হয়েছে। ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অনেক সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা না দিয়ে বলা হয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখুন। আবার চাকরি কিংবা ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে আসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সম্পর্কে অনুচ্ছেদ লিখুন। বাংলা ২য়পত্র বিষয় থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনাটি সহজ ভাষায় লিখা হয়েছে । ৩য় থেকে ৭ম শ্রেনি উপযোগী করে লেখা হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনাটি সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা হয়েছে। যেন, একবার পড়লেই মুখস্থ হয়ে যায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এর জায়গায় যদি আসে আদর্শ বিদ্যালয় তাহলেও রচনাটি লিখতে পারেন। Communal harmony essay is written for class- 3, 4, 5, 6, 7, 8, 9, 10

বিশ্বশান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা

ভূমিকা : সারা পৃথিবীতে বর্তমানে আস্তিক লোকের সংখ্যা নাস্তিকদের তুলনায় অনেক বেশি। এ আস্তিক মানুষেরা আবার ইসলাম, খ্রিষ্টান, হিন্দু, ইহুদি ধর্মসহ নানা ধর্মের অনুসারী। ঐতিহাসিক পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান প্রভৃতি ধর্মাবলম্বী মানুষ পাশাপাশি অবস্থান করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক গীতিময় ঐতিহ্য ধারণ করে আছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের বাস হলেও স্বীয় অস্তিত্ব আর মান-সম্মান নিয়ে হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধসহ অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষও এখানে স্ব-স্ব ধর্ম পালন করছে।

সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ধর্মীয় বাতাবরণকে পাশ কাটিয়ে জাতীয় চেতনা এবং শান্তির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রত্যেকেই সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে জীবনযাপন করছে। এ সৌহার্দের ঐতিহ্যগত সহমর্মিতা আর শান্তির স্বর্গীয় শিক্ষা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সব সময় বাড়াবাড়ির পথ থেকে ফিরিয়ে রেখেছে। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং নিয়মতান্ত্রিক উপাসনার ধর্মীয় রীতি এদেশের প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে থাকলেও ধর্মান্ধতার বিষাক্ত ছোবল এ সমাজকে কখনো আক্রান্ত করতে পারেনি।

বাংলাদেশের ধর্ম

বাংলাদেশের এ ধর্মীয় ইতিহাস অনেক প্রাচীন। দীর্ঘদিনের ইতিহাসের ধারায় এখানে বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী যেমন শাসন করেছে, তেমনি বিকাশ লাভ করেছে বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি আর বিশ্বাস। তাই বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে আজও হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, ইংরেজ আর মুসলিম শাসকদের নানা কীর্তি চোখে পড়ে। বর্তমানে এদেশের প্রায় ৯০% লোক মুসলমান। দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হিসেবে হিন্দুরা স্বাধীনতা পূর্বকালে বিশেষ করে ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের প্রাক্কালে এদেশে বিপুল পরিমাণ হিন্দুর বসবাস থাকলেও মূলত রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কারণেই হিন্দুরা কালক্রমে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাড়ি জমায়।

ফলে তাদের সংখ্যা ক্রমে হ্রাস পেতে থাকে। অন্যদিকে ব্রিটিশ শাসনামল এবং পরবর্তীকালে এনজিও কার্যক্রমের নামে খ্রিষ্টান মিশনারিদের ব্যাপক তৎপরতায় এদেশে খ্রিষ্টানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে যেসব উপজাতি রয়েছে তাদের অধিকাংশই বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান। তবে তাদের অনেকেরই আবার নিজস্ব ধর্ম রয়েছে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যতম উদাহরণ। সাম্প্রতিককালে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠলেও প্রকৃতার্থে এটি দু-দিক থেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কেউ যদি সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করে থাকে তা যেমন সুযোগসন্ধানী রাজনীতিকদের নোংরামীর ফল, তেমনি যারা এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় করছে সেটাও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির কৌশল। কারণ এদেশের সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতায় এমন আচরণ অনুপস্থিত।

ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলেও দেখা যায়, এদেশের বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছে। ইংরেজ বিরোধী আন্দোলন থেকে ভাষা আন্দোলন এবং সর্বশেষ স্বাধীনতা আন্দোলনেও এদেশের মানুষ ধর্মীয় বাদ-বিচারের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় চেতনা নিয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে লড়েছে।

পাকিস্তানি শাসকরা যখন ধর্মের দোহাই দিয়ে বাঙালি জাতিকে শোষণ করেছিল, তখন এদেশের মানুষ সে শুভংকরের ফাঁকি ঠিকই বুঝতে পেরেছিল। ফলে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শোষকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে স্বদেশ ভূমিকে মুক্ত করেছে। এদেশের মানুষ জেনেছে ধর্মের দোহাই দিয়ে শোষণ করা কোনো শাসকের কাজ নয়, এটি জালিমের কাজ। বর্তমানে এদেশের মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও ঐতিহাসিককাল থেকেই এখানে হিন্দু-মুসলমান পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। হিন্দু-মুসলিম সৌহার্দের অনেক নিদর্শন এখনো দেখা যায়।

বাংলার আনাচে-কানাচে পাশাপাশি বাড়িতে হিন্দু- মুসলিম-খ্রিষ্টান বসবাস করছে, প্রতিনিয়ত তাদের পারস্পরিক লেনদেন হচ্ছে। সমমর্যাদা আর অধিকার নিয়ে এখানে সব ধর্মের মানুষ তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবন পরিচালনা করছে। ব্রাহ্মণ্যবাদের মিথ্যা আভিজাত্য এক সময় বাঙালি সমাজে জাতিভেদ আর বর্ণভেদের দুষ্টক্ষত সৃষ্টি করলেও কালক্রমে তা বিলুপ্ত হয়। বিশেষ করে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ও· মানসিক শিক্ষার প্রচ্ছন্ন ছায়া এবং বাঙালির ঐতিহ্যগত সৌহার্দ এ ক্ষতকে বিস্তৃত হতে দেয়নি।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা

বাংলাদেশের মানুষের আরেকটি গুণ হলো এখানে হিন্দু-মুসলমানের বাইরে প্রতিবেশী ও সমাজের সদস্য হিসেবে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে তারা বেশ গুরুত্ব দেয়। এখানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের স্ব স্ব ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে এবং একে অপরের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও রীতিনীতির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। এমনকি একে অপরকে নিজস্ব ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ জানানোর যে ঐতিহ্যগত রীতি তা সত্যিই প্রশংসনীয়। পর ধর্মের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া এবং উপভোগ করার অনুপম রীতি এখানে বিদ্যমান। এছাড়া পহেলা বৈশাখ, পৌষ সংক্রান্তি ও পিঠা-পুলির উৎসবসহ এমন কিছু উৎসব আছে যেখানে জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে প্রতিটি বাঙালি এক অভিন্ন অস্তিত্বের সন্ধান খোঁজে।

পরধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং প্রত্যেককে তাদের ধর্মকর্ম পালনের সুযোগদানের ব্যাপারে এদেশের প্রতিটি মানুষ সজাগ। প্রতিটি মসজিদে আজনের পবিত্র ধ্বনির আবহ যেমন মানব মনকে আলোড়িত করে, তেমনি মন্দির চর্চা কিংবা প্যাগোডায় বিনীত প্রার্থনার আকুলতাও পবিত্র আবহ ছড়ায়।

মুসলমানদের আচার অনুষ্ঠান ও দৃষ্টিভঙ্গি

বাংলাদেশ নানা ধর্মের মানুষের দেশ হলেও মূলত মুসলিম জনগোষ্ঠীর আচার অনুষ্ঠান ও দৃষ্টিভঙ্গিই জাতীয় জীবনে প্রধান। কেননা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এ মুসলিম দেশটিতে প্রায় ১৩ কোটি মুসলমানের বাস। বাংলাদেশের মুসলমানরাও বিশ্বের অন্য দশটি মুসলিমদেশের মতো যাবতীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান-আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপারে যথেষ্ট যত্নবান। ধর্মীয় কর্তব্য পালন, ধর্মের প্রতি অনুরাগ ও ধর্মীয় বিধি-বিধানের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এদেশের প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে। তবে ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি কিংবা উগ্রতা এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের স্বাভাবিক চেতনায় অনুপস্থিত। ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মের অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলেও এদেশের মুসলমানেরা তাদের এ বিশ্বাসকে অপরের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাসী নয়।

তাছাড়া বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে ধর্মীয় কার্যকলাপ ও আনুষ্ঠানিকতায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকলেও তা তাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত করে না। বরং প্রত্যেকেই যার যার মত ও পথ অনুযায়ী ধর্মীয় অনুশাসনের অনুসরণ করে থাকে। পির মাশায়েখ আর আলেম-ওলামাদের দিক্ নির্দেশনায় আবহমানকাল থেকেই এদেশের প্রতিটি ঘরে ধর্মীয় শিক্ষার যে অমিয় ধারা প্রবাহিত তা শান্তির শিক্ষা, স্রষ্টাকে ভালোবাসার শিক্ষা। ধর্ম এদেশের সহজ-সরল মানুষের মধ্যে উগ্রতা কিংবা বিচ্ছিন্নতা নয়, ভ্রাতৃত্ব আর সৌহার্দের শিক্ষাই দিয়েছে।

তাই ঈদ বা ধর্মীয় সভায় মুসলমানদের যে মিলন মেলা হয় তা প্রতিটি মানুষকেই ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ করে। বাংলাদেশের মুসলমানদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, তারা বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন বা নিপীড়ন হচ্ছে তার বিরোধী হলেও তাদের প্রতিক্রিয়া অবশ্যই শান্তিপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের গুজরাটে মুসলমানদের ওপর যে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালানো হয় তার প্রতিক্রিয়ায় এদেশের হিন্দুদের কোনো ক্ষতি এদেশের মুসলমানরা করেনি।

বরং এদেশের হিন্দুরাও এ বর্বরতার নিন্দা করেছে। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের দুর্দশা লাঘবের জন্য মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করাকে এদেশের মুসলমানরা তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব মনে করে। পাশাপাশি সন্ত্রাস, নৈরাজ্যসহ মানববিধ্বংসী সব কর্মকাণ্ডকে এদেশের মানুষ বরাবরই ঘৃণা করে এসেছে। তাই ধর্মীয় উগ্রতা কিংবা ধর্মান্ধতা নয় বরং ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি ঐকান্তিকতা আর অনুসরণই দুনিয়া-আখিরাতে মুক্তির একমাত্র পথ হিসেবে ধরে নেওয়াই এদেশের মানুষের বৈশিষ্ট্য।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্ম

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মের উপস্থিতি নিয়ে অনেক কথা চালু থাকলেও এদেশের মানুষ ধর্মকে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি পৃথক করা সত্ত্বেও এখনও পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে ওঠে নি। তাই বলে ধর্মের নামে রাজনৈতিক সহিংসতাকেও তারা সমানভাবে ঘৃণা করে। বিশেষ করে রাজনৈতিকভাবে ধর্মকে হেয়প্রতিপন্ন করা বা ধর্মবিরোধী কার্যক্রমকে তারা কখনোই সমর্থন করেনি। বিপরীত পক্ষে পুরোপুরি ধর্মীয় শাসন প্রতিষ্ঠার যে আদর্শিক আন্দোলন তার প্রতিও জনসাধারণের সমর্থন তেমন লক্ষ করা যায় না।

বরং এদেশের মানুষ মধ্যপন্থা অবলম্বনে বিশ্বাসী। তাই দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামির মতো ধর্মভিত্তিক দল এককভাবে যেমন সুবিধা করতে পারেনি, তেমনি বামপন্থি দলগুলোর অবস্থাও করুণ। বরং বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির মতো দলগুলো যখন ধর্মের প্রতি তাদের সহানুভূতি তুলে ধরতে পেরেছে তখন ভোটারদের সহানুভূতিও পেয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের আলেম ওলামা ও পীর মাশায়েখদের একটি বিরাট অংশ সরাসরি কোনো দলের সমর্থন করে না। তারা মূলত মানুষকে ধর্ম-কর্মের শিক্ষাদান ও এসব ব্যাপারে সজাগ করে তোলাকেই মূল দায়িত্ব মনে করেন।

ফলে বাংলাদেশে কোনো উগ্রবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর উপস্থিতির কথা শুধুই কাল্পনিক। তাই একবার এক কমিউনিস্ট নেতা বলেছিলেন— ‘বিকেলবেলায় আমি যখন সমাজতন্ত্রের ওপর বক্তৃতা দেই তখন প্রচুর লোক জড়ো হয়, কিন্তু যখন মাগরিবের আযান হয় তখন মুসলমানরা মসজিদে আর হিন্দুরা মন্দিরে চলে যায়।

উপসংহার

নানা অপপ্রচার এবং অপতৎপরতা সত্ত্বেও একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, বাংলাদেশ কোনো অর্থেই সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র নয়। এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের যে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্য তা কোনো সময়ই ধর্মীয় বাড়াবাড়িকে প্রশ্রয় দেয় নি। বরং প্রাচীনকাল থেকে এখানে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ পাশাপাশি বাস করে আসছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চর্চার সর্বজনীনতা দেখলে অনায়াসেই বলা যায়, এখানকার মানুষ প্রথমেই তাদের জাতীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়কে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে মসজিদ, মন্দির ও মানুষের ধর্ম-কর্ম পালন কোনো মতেই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।

গুরুত্বপূর্ন রচনাগুলো দেখুন:

আমাদের গ্রাম রচনা

দর্শনীয় স্থান রচনা

স্বদেশপ্রেম রচনা

অধ্যবসায় রচনা সকল ক্লাসের জন্য

সবশেষে

অনেকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা pdf চেয়েছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা class 8, আদর্শ গ্রাম রচনা ক্লাস ২, আদর্শ গ্রাম অনুচ্ছেদ রচনা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা ৩য় শ্রেণি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা ক্লাস 6, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা class 10 সহ সকল চাহিদার পূরন হবে এই পোস্ট। মাই ক্লাসরুম ফেসবুক পেজ এখানে

যেভাবে খুজে পাবেন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা সহজ ভাষায় ২০০ শব্দ, ৩০০ শব্দ, ৪০০ শব্দ, ৪৫০ শব্দে লেখা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাসের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গিকে রচনাটি লেখা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনাটি ৬ষ্ঠ ৭ম ও ৮ম শ্রেণির জন্য ১৫ পয়েন্ট ২০ পয়েন্ট  করে লেখা হয়েছে। ৯ম ১০ম ১১শ ও ১২শ ক্লাসের জন্য ২৫ পয়েন্ট ও ৩০ পয়েন্ট করে লেখা হয়েছে। অনেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা pdf ডাউনলোড করতে চান। আপনি মাই ক্লাসরুম থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না। ধন্যবাদ।

M@mun

Hasan Al Mamun is a dedicated teacher, blogger, and YouTuber who has achieved great success in his field. He was born to parents Shahjahan Topodar and Masrura Begum and grew up with a love for learning and exploration. After completing his Bachelor's degree, Hasan pursued a Master's degree in Accounting and excelled in his studies. He then began his career as a teacher, sharing his knowledge and passion for accounting with his students. In addition to teaching, Hasan is also an avid blogger and YouTuber, creating content that educates and inspires his viewers. His YouTube channel, "My Classroom," has grown to an impressive 240,000 subscribers, earning him a silver play button from YouTube. Hasan's interests include book reading, travelling, gardening, and writing, and he often incorporates these passions into his work. He strives to create an honest and supportive community in all of his endeavors, encouraging his followers to learn and grow alongside him. Overall, Hasan Al Mamun is a talented and dedicated individual who has made a significant impact in the fields of education, blogging, and content creation.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button