প্রবাসীদের জন্য ব্যয়বহুল সেরা দশ শহর

প্রবাসে জীবনযাপন মানেই ব্যয়বহুল জীবনযাত্রার প্রস্তুতি। বাসস্থান, খাবার, পরিবহন এবং অন্যান্য দৈনন্দিন খরচের বিবেচনায় বিশ্বের কিছু শহর প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কনসালটিং ফার্ম মারসারের ‘কস্ট অব লিভিং সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৪’ এর তথ্যমতে, নিচে প্রবাসীদের জন্য ব্যয়বহুল সেরা দশটি শহরের বিবরণ দেওয়া হলো।
১. হংকং (Hong Kong)
বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর হিসেবে পরিচিত হংকং, যা এশিয়ার অর্থনৈতিক কেন্দ্র। এখানে বাসস্থানের খরচ অত্যন্ত বেশি। বিশেষ করে ছোট অ্যাপার্টমেন্টের জন্যও প্রচুর ভাড়া দিতে হয়। এছাড়া খাবার এবং বিনোদনের খরচও অন্য শহরের তুলনায় অনেক বেশি।
২. সিঙ্গাপুর সিটি (Singapore City)
এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধশালী দেশ সিঙ্গাপুরের রাজধানী সিঙ্গাপুর সিটি প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এখানে যানবাহনের খরচ, যেমন ব্যক্তিগত গাড়ি রাখার ব্যয়, অত্যন্ত বেশি। খাবার, শিক্ষার সুযোগ এবং স্বাস্থ্যসেবার মান অত্যন্ত উন্নত হলেও এর খরচও তুলনামূলক বেশি।
৩. জুরিখ (Zurich)
সুইজারল্যান্ডের এই শহরটি ইউরোপের ব্যয়বহুল শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি মূলত আর্থিক সেবা এবং ব্যাংকিং খাতের জন্য পরিচিত। এখানকার রেস্টুরেন্ট এবং সুপারমার্কেটের পণ্যের মূল্য বেশ চড়া।
৪. জেনেভা (Geneva)
জেনেভা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর একটি কেন্দ্র, যা এটিকে একটি অভিজাত শহরে পরিণত করেছে। এখানে উচ্চমানের জীবনযাপন সম্ভব হলেও, এর খরচ বেশ চড়া। বাসস্থান, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এবং বিনোদনের জন্য খরচ অনেক বেশি।
৫. বাসেল (Basel)
সুইজারল্যান্ডের আরেকটি ব্যয়বহুল শহর হলো বাসেল। এটি মূলত ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বায়োটেক খাতের জন্য পরিচিত। এখানকার বাসস্থানের খরচ এবং দৈনন্দিন জীবনযাপনের অন্যান্য ব্যয় অত্যন্ত বেশি।
৬. বার্ন (Bern)
সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্ন শহরটি প্রবাসীদের জন্য আরেকটি ব্যয়বহুল শহর। এখানকার জীবনযাত্রার মান অত্যন্ত উন্নত। তবে, এটি বজায় রাখতে খরচও অনেক বেশি। এখানকার বাসস্থান এবং রেস্তোরাঁগুলোর খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি।
৭. নিউইয়র্ক সিটি (New York City)
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম শহর নিউইয়র্ক সিটি অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া, খাবার এবং বিনোদনের খরচ অত্যন্ত বেশি।
৮. লন্ডন (London)
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন তার ব্যস্ত জীবনধারা এবং উচ্চমানের শিক্ষার জন্য পরিচিত। তবে, এখানকার বাসস্থান এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের খরচ প্রবাসীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
৯. নাসাউ (Nassau)
বাহামার রাজধানী নাসাউ তার সৈকত এবং পর্যটন শিল্পের জন্য বিখ্যাত। তবে, এখানকার দৈনন্দিন জীবনযাপনের খরচ অত্যন্ত বেশি। খাবার এবং বাসস্থানের ব্যয় তুলনামূলক বেশি হওয়ায় এটি প্রবাসীদের জন্য ব্যয়বহুল।
১০. লস অ্যাঞ্জেলস (Los Angeles)
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি ব্যয়বহুল শহর লস অ্যাঞ্জেলস। এটি মূলত বিনোদন শিল্পের জন্য বিখ্যাত। তবে, এখানে বাসস্থান এবং যানবাহনের ব্যয় অত্যন্ত বেশি, যা প্রবাসীদের জন্য কঠিন হতে পারে।
উপসংহার
উপরের শহরগুলোতে উচ্চমানের জীবনযাপন সম্ভব হলেও, খরচের চাপ অনেক বেশি। প্রবাসীদের জন্য এসব শহর পরিকল্পিত বাজেট এবং আর্থিক প্রস্তুতি ছাড়া চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। প্রবাসে যাওয়ার আগে এসব শহরের জীবনযাত্রার খরচ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।