পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি

পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি ভাবসম্প্রসারনটি সকল শ্রেণি এবং চাকরি পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন। আমরা খুব সহজ করে লেখার চেষ্ট করেছি। প্রত্যেক ক্লাসের জন্য আলাদা আলাদা করে দেয়া হয়েছ ভাবসম্প্রসারনটি। পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি ক্লাস ৫ থেকে শুরু করে এসএসসি ও এইচএসসি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।
মাই ক্লাসরুমে পাবেন গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারন Class 8, Class 9, Class 10 & ভাবসম্প্রসারন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য। আশাকরছি, ভাবসম্প্রসারনটি দেখে সহজেই মুখস্ত করতে পারবে।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি ভাবসম্প্রসারনটি যেকোন পরীক্ষায় কমন আসারমতো। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা ২য়পত্র সাজেশনে প্রায়ই ভাবসম্প্রসারনটি থাকে। তাহলে চলো শুরু করা যাক—
পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি ভাবসম্প্রসারন Class 6
মূলভাব: সৌভাগ্য সহজে আসে না, বরং তা অর্জনের জন্য পরিশ্রমই একমাত্র উপায়। পরিশ্রম সৌভাগ্যের জননী, যেমন মা নিজের সন্তানের জন্ম ও প্রতিপালনে নিবেদিত থাকেন।
সম্প্রসারিত ভাব: মায়ের পরিচর্যায় সন্তান যেমন সার্থক মানুষ হয়ে ওঠে, তেমনি পরিশ্রম ছাড়া জীবনে সত্যিকারের সাফল্য আসে না। সৌভাগ্য হঠাৎ পাওয়া যায় না; তাকে গড়ে তুলতে হয় কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের মাধ্যমে। সমাজে অনেকে ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে সুখের আশা করেন, কিন্তু বাস্তব জীবনে সৌভাগ্য আসে দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও কর্মের দ্বারা। কর্মহীনতা দুর্ভাগ্য ডেকে আনে, আর পরিশ্রম জীবনকে সুন্দর ও সফল করে তোলে। ইতিহাসে দেখা যায়, উন্নতি ও সাফল্য সবসময় পরিশ্রমীদেরই সঙ্গী।
মন্তব্য: তাই সৌভাগ্যের প্রত্যাশায় বসে না থেকে পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য গড়ে তোলা উচিত।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি ভাবসম্প্রসারন Class 7
মূলভাব: সৌভাগ্য নিয়ে কেউ জন্মায় না; পরিশ্রমের মাধ্যমেই মানুষ তার ভাগ্য গড়ে তোলে। সফলতা পেতে পরিশ্রমই একমাত্র পথ।
ভাব সম্প্রসারণ: যেমন মা সন্তানের জন্ম দেন, তেমনি সৌভাগ্যের জন্ম দেয় পরিশ্রম। জীবনকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে পরিশ্রম ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। ভালো কাজ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়, আর খারাপ কাজের ফলও খারাপ হয়। কঠিন কাজও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সহজ হয়ে যায়। শিক্ষার্থী জীবনে সাফল্য পেতে হলে পড়াশোনায় পরিশ্রম করতেই হবে। জাতির উন্নতির ক্ষেত্রেও পরিশ্রমের বিকল্প নেই। সভ্যতার উন্নতি, বিভিন্ন আবিষ্কার—সবই মানুষের তিল তিল পরিশ্রমের ফসল। অলসভাবে বসে থেকে কখনো সফলতা পাওয়া যায় না; সফলতা আসে যখন পরিশ্রমের মাধ্যমে তাকে অর্জন করা হয়।
মন্তব্য: পরিশ্রমই উন্নতির মূল চাবিকাঠি। যে জাতি যত পরিশ্রমী, সে জাতি তত উন্নত। তাই ব্যক্তিগত ও জাতিগত সাফল্যের জন্য পরিশ্রম অপরিহার্য।
ভাবসম্প্রসারন: পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি Class 8
পৃথিবীতে কোনো মানুষ সৌভাগ্য নিয়ে জন্ম নেয় না; বরং মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে সৌভাগ্য গড়ে তোলে। পরিশ্রমই হলো সৌভাগ্যের মূল চাবিকাঠি। উদ্যম, চেষ্টা, এবং শ্রমের সমষ্টি হলো প্রকৃত সৌভাগ্য।
যেমন মা সন্তানকে জন্ম দেন, তেমনি কঠোর পরিশ্রম হলো সৌভাগ্যের উৎস। মানুষ তার কাজের ফল ভোগ করে; ভালো কাজের ফল ভালো এবং মন্দ কাজের ফল মন্দ। কোনো কাজই সহজ নয়, তবে পরিশ্রমের মাধ্যমে কঠিন কাজকেও সহজ করা যায়। জীবনে উন্নতি করতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
পরিশ্রম ছাড়া কেউ তার ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে পারেনি। অর্থ, বিদ্যা, যশ, এবং প্রতিপত্তি লাভের জন্য কঠোর পরিশ্রম প্রয়োজন। ছাত্রজীবনে শিক্ষালাভ না করলে সাফল্য অসম্ভব।
শ্রমই হলো উন্নতির চাবিকাঠি। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী, সে জাতি তত উন্নত। ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিশ্রমের মাধ্যমে জাতির সৌভাগ্য অর্জন সম্ভব।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি ভাবসম্প্রসারন Class 9
মূলভাব: পরিশ্রমই কল্যাণ বয়ে আনে। জীবনে প্রকৃত সফলতা অর্জন করতে হলে পরিশ্রম ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। কঠোর পরিশ্রম সৌভাগ্যের সূত্রপাত করে, কারণ ভাগ্য তৈরি করতে হয় কাজের মাধ্যমে। তাই বলা যায়, পরিশ্রমই সৌভাগ্য বয়ে আনে।
সম্প্রসারিতভাব: সৃষ্টিকর্তা মানুষকে শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা দিয়েছেন পরিশ্রমের জন্য। বিনা পরিশ্রমে কিছু অর্জন করা যায় না। মেধা ও কর্মশক্তির মাধ্যমে মানুষ অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা। এই বৈশিষ্ট্যগুলো কাজে লাগিয়ে পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষ সফলতার দিকে এগিয়ে যায়। সফলতা অর্জনের জন্য অলসতা পরিহার করে কঠোর পরিশ্রম করা প্রয়োজন।
প্রাচীনকাল থেকে আজ পর্যন্ত যেসব মনীষী সাফল্য অর্জন করেছেন, তাদের সকলেই কঠোর পরিশ্রম করেছেন। সফলতা অর্জনের মূল ভিত্তি হচ্ছে পরিশ্রম। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী, তারা তত উন্নত। পরিশ্রমকে সৌভাগ্যের চাবিকাঠি বলা হয়। অন্যদিকে, মেধা থাকা সত্ত্বেও কাজ না করলে দুর্ভাগ্য জীবনকে ঘিরে ধরে।
যদি আমরা একজন ভালো ক্রিকেটার হতে চাই, তবে মাঠে অনুশীলন করতে হবে; ঘরে বসে স্বপ্ন দেখলে কিছু হবে না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হতে হলে শ্রম ও সাধনা ছাড়া বিকল্প পথ নেই।
অতএব, সফলতার জন্য কঠোর পরিশ্রমই প্রধান। ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডাল্টন নিজেকে একজন কঠোর পরিশ্রমী হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনি বলতেন, “জীবন পুষ্প-শয্যা নয়।” ফরাসি দার্শনিক ভলতেয়ার বলেছেন, “প্রতিভা বলে কিছু নেই; পরিশ্রম ও সাধনা করলে প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করা সম্ভব।”
মন্তব্য: মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। যারা কঠোর পরিশ্রমী, সৃষ্টিকর্তা তাদের সহায়তা করেন। তাই সফলতার পথে এগিয়ে যেতে আমাদের কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে।
পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি ভাবসম্প্রসারন SSC & HSC
একটি পুরনো কথা আছে—”পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।” একমাত্র নিরলস পরিশ্রম এবং একনিষ্ঠ সাধনার মাধ্যমেই সৌভাগ্য অর্জন সম্ভব।
সম্প্রসারিত ভাব : জীবনে সফল হতে হলে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। কঠোর পরিশ্রমের দ্বারাই মানুষ প্রতিকূল ভাগ্যকে জয় করে সৌভাগ্যের অধিকারী হয়। পৃথিবীতে কেউ সৌভাগ্য নিয়ে জন্মায় না, তবে সবারই সৌভাগ্যের আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই শুধু ভাগ্যের আশায় বসে না থেকে পরিশ্রম করে এগিয়ে যেতে হয়। অলস ব্যক্তিরাই ভাগ্যের দোহাই দেয়। সৌভাগ্যকে শ্রমের মাধ্যমেই জয় করতে হয়। সফল ব্যক্তিদের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে পরিশ্রম। শক্তি, সম্মান, ও উন্নতির মূল ভিত্তি হলো পরিশ্রম। যারা পরিশ্রমে অপারগ, জীবনের প্রতিযোগিতায় তারা পরাজিত হয়। বর্তমান যুগ প্রতিযোগিতার যুগ। এই প্রতিযোগিতায় কঠোর পরিশ্রমেই মানুষ তার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে, অন্যথায় দুর্ভাগ্যে পতিত হয়। উন্নত দেশ ও জাতির অগ্রগতির পেছনে রয়েছে শ্রম। তাই জ্ঞানীরা বলেন, পরিশ্রমের অমর্যাদা আত্মহননের সামিল।
মানবসভ্যতার এই উন্নতি এবং অগ্রগতি মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের ফসল। পরিশ্রম ছাড়া কোনো ব্যক্তিই কিংবা জাতিই সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে না। তাই সৌভাগ্য অর্জনের জন্য লক্ষ্য স্থির রেখে নিরলস পরিশ্রমের ব্রত গ্রহণ করতে হবে।
আরো গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারন:
- যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।
- ভাবসম্প্রসারণ: শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির
- ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ ভাবসম্প্রসারন Class 6 7 8 9 10 SSC HSC
- কীর্তিমানের মৃত্যু নেই ভাবস্প্রসারন Class 6 7 8 9 10 SSC & HSC
সবশেষে:
আশা করছি পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি ভাবসম্প্রসারনটি পড়ে বুঝতে পেরেছো। ভাবসম্প্রসারনটি ভালো করে পড়ে নিজে নিজে লিখার চেষ্টা করো। SSC & HSC ভাবসম্প্রসারন হিসেবে এটি গুরুত্বপূর্ন। মাই ক্লাসরুম থেকে তোমরা সকল প্রকার ভাবসম্প্রসারন, রচনা, দরখাস্ত, প্যারগ্রাফ মুখস্ত করতে পারবে। তোমাদের জন্য শুভকামনা।