ভাবসম্প্রসারন কিভাবে লিখবেন। ভাবসম্প্রসারন লেখার নিয়ম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া ও আশীর্বাদে ভালো আছি। আজকের নতুন টপিকে আপনাদের স্বাগতম! আজকে আলোচনা করবো ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম নিয়ে। চলুন বন্ধুরা, শুরু করা যাক।
অনেকেই ভাবসম্প্রসারণ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন, যেমন একটি ভাবসম্প্রসারণ কত পৃষ্ঠা লিখতে হবে এবং কীভাবে পয়েন্ট বা কোটেশন দিতে হবে। আজকে এসব বিষয় পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দিবো।
ভাবসম্প্রসারণ কী
ভাবসম্প্রসারণ বলতে মনের ভাবকে বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করাকে বোঝায়। মূল বক্তব্য বা মর্মকথাকে বিস্তৃত আকারে আলোচনা করা হয়। সাধারণত কবি বা লেখকের দুই থেকে চার লাইনের কথা থাকে যা আমাদের বিস্তারিত করতে হয়। ভাবসম্প্রসারণ লেখার জন্য তিনটি বিষয় মনে রাখা জরুরি:
- মূলভাব: এটি দুই থেকে তিন লাইনের মধ্যে সংক্ষেপে দিতে হবে। যদিও কখনো চার লাইন হয়ে গেলে সমস্যা নেই।
- সম্প্রসারিতভাব: এই অংশে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। একই শব্দ বা কথা বারবার না লিখে গুছিয়ে লিখুন। সহজ ভাষা ব্যবহার করুন এবং লেখার মধ্যে “আমি,” “আমরা” ইত্যাদি শব্দ পরিহার করুন।
- মন্তব্য / উপসংহার: এটি এক বা দুই লাইনের মধ্যে সংক্ষেপে শেষ করাই উত্তম।
ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম
কিছু নিয়ম মানলে ভাবসম্প্রসারণ লেখা সহজ হয়। নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করে ভাবসম্প্রসারণ লিখতে পারেন:
- যে অংশের ভাবসম্প্রসারণ করবেন, সেটি ভালোভাবে পড়ে মূল বিষয়টি বুঝুন।
- যুক্তিতর্কের মাধ্যমে ভাব বিশ্লেষণ করুন এবং সহজ ভাষায় গুছিয়ে লিখুন।
- জটিল বাক্য বা কঠিন শব্দ এড়িয়ে চলুন।
- প্রাসঙ্গিক উদাহরণ বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারেন।
- সাধারণত ১৫০-২০০ শব্দের মধ্যে এবং ১৫-২০ লাইনের মধ্যে লেখা ভালো।
ভাবসম্প্রসারণ লেখার ক্ষেত্রে পৃষ্ঠার পরিমাণ
ফুল মার্ক পেতে চাইলে দুই থেকে আড়াই পৃষ্ঠা লিখুন। লেখাটি মূলভাব, সম্প্রসারিতভাব এবং উপসংহার এই তিনটি অংশে ভাগ করুন। Class 6-10 এর জন্য পয়েন্ট বা কোটেশনের নাম দেয়া যেতে পারে, কিন্তু HSC পর্যায়ের জন্য শুধুমাত্র প্যারা আকারে লিখলেই ভালো।
শেষ কথা
ভাবসম্প্রসারণ লেখার নিয়ম নিয়ে এই আলোচনা থেকে আশা করি কিছুটা উপকৃত হয়েছেন। যদি কিছু বুঝতে সমস্যা হয়, কমেন্টে জানান। আর নতুন কিছু জানতে চাইলে আমাদের জানান। ধন্যবাদ myclassroombd.com এর সাথে থাকার জন্য।