ভাবসম্প্রসারন

মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয় ভাবসম্প্রসারন

মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয় ভাবসম্প্রসারনটি সকল শ্রেণি এবং চাকরি পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন। আমরা খুব সহজ করে লেখার চেষ্ট করেছি। প্রত্যেক ক্লাসের জন্য আলাদা আলাদা করে দেয়া হয়েছ ভাবসম্প্রসারনটি। মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয় ক্লাস ৫ থেকে শুরু করে এসএসসি ও এইচএসসি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।

মাই ক্লাসরুমে পাবেন গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারন Class 8, Class 9, Class 10 & ভাবসম্প্রসারন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য। আশাকরছি, ভাবসম্প্রসারনটি দেখে সহজেই মুখস্ত করতে পারবে।

মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয় ভাবসম্প্রসারনটি যেকোন পরীক্ষায় কমন আসারমতো। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা ২য়পত্র সাজেশনে প্রায়ই ভাবসম্প্রসারনটি থাকে। তাহলে চলো শুরু করা যাক—

মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে ভাবসম্প্রসারন Class 6

মূলভাব

মানুষের জীবন সীমিত, কিন্তু তার কর্মের মাধ্যমে সে অমর হতে পারে। মহৎকর্ম মানুষকে যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় করে রাখে, আর নিন্দনীয় কর্ম তাকে ভুলে যেতে বাধ্য করে।

সম্প্রসারিত ভাব

জীবন সুখী ও সার্থক করার জন্য মহৎকর্ম অপরিহার্য। মানুষের শারীরিক অস্তিত্ব একদিন শেষ হয়, কিন্তু তার কর্মের ফসল থেকে যায়। যারা জীবনে ভালো কাজের মাধ্যমে সমাজের উপকার করে, তাদের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে, যারা নিষ্ফল জীবন যাপন করে, তাদের কেউ মনে রাখে না।

বিশ্বের অনেক বিখ্যাত মানুষ তাদের কর্মের জন্য অমর হয়ে আছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম কিংবা নেপোলিয়ন বোনাপার্ট—তারা সাধারণ পরিবারে জন্ম নিয়েও কর্মের মাধ্যমে ইতিহাসে নিজেদের নাম অমর করে তুলেছেন।

তাই জীবনকে সার্থক করতে হলে শুধু বেঁচে থাকা নয়, মহৎকর্মে নিজেকে নিয়োজিত করতে হবে। মানুষের প্রকৃত সার্থকতা তার কর্মের গৌরবেই নিহিত। কর্মই মানুষকে চিরঞ্জীব করে।

মন্তব্য

মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী হলেও তার মহৎকর্মই তাকে অমরত্ব দান করে। তাই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে মহৎকর্মে উৎসর্গ করাই সার্থকতা।

মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে ভাবসম্প্রসারন Class 7

মানুষ মরণশীল হলেও কর্মগুণে অমরত্ব লাভ করা সম্ভব। শারীরিক অস্তিত্ব ক্ষণস্থায়ী হলেও মহৎকর্ম মানুষের নাম চিরকাল বাঁচিয়ে রাখে। যেসব মানুষ নিঃস্বার্থভাবে পরোপকারে আত্মনিয়োগ করেন, তাদের মৃত্যুর পরেও সমাজ তাঁদের স্মরণ করে।

জীবনের প্রকৃত সার্থকতা মানুষের জন্য কাজ করার মধ্যেই নিহিত। যারা মানবকল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করেন, তারা মৃত্যুর পরেও মানবসমাজে অমর হয়ে থাকেন। গৌরবময় কীর্তি মানুষের অন্তরে জায়গা করে নেয় এবং তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে মানুষ নিজেদের জীবন গড়ে তোলে।

নশ্বর পৃথিবীতে কীর্তিমান ব্যক্তিত্বরা তাদের কর্মের মাধ্যমে অমরত্ব লাভ করেন। যেমন সক্রেটিস, প্লেটো, গ্যালিলিও—তাদের শারীরিক মৃত্যু হলেও তাদের মহৎকর্ম আজও মানুষের হৃদয়ে জীবন্ত।

তাই মানুষের বেঁচে থাকার প্রকৃত অর্থ হলো কর্মের মাধ্যমে অবিনশ্বর হয়ে ওঠা। জীবনের সার্থকতা মানবকল্যাণে নিবেদিত জীবনেই নিহিত।

ভাবসম্প্রসারন: মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে Class 8

মূলভাব:
দীর্ঘ জীবন একাই মানুষকে অমর করে তোলে না; বরং, তার মহৎ কর্মই তাকে চিরকাল অমর করে রাখে।

সম্প্রসারিত ভাব:
একটি ইংরেজি কথায় বলা হয়, “Life does not live in years, but in deeds.” মানুষের জীবনের প্রকৃত মূল্যায়ন হয় তার কর্মের মাধ্যমে, শুধু বয়স দিয়ে নয়। দীর্ঘ জীবন হলেও যদি কেউ মহৎ কাজ না করে, তবে তার নাম পরিচয় কালক্রমে হারিয়ে যায়। কিন্তু যারা মানবকল্যাণে সুনাম অর্জন করেন, তারা মৃত্যুর পরও মানুষের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকেন। তাদের কর্মই তাদের অমরত্বের কারণ।

যারা স্বল্প সময়ে মহান কাজ করে গেছেন, যেমন ক্ষুদিরাম, বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার—তারা মৃত্যুর পরেও চিরকাল মানুষের স্মৃতিতে অমর। আবার কিছু মানুষ দীর্ঘকাল বেঁচে থেকেও তাদের কাজের অভাবে তাদের নাম অন্ধকারে হারিয়ে যায়। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য, মাত্র ২১ বছর বয়সে চলে গিয়েও, তার কাজের জন্য অমর হয়ে আছেন।

মন্তব্য:
জীবন ক্ষণস্থায়ী হলেও, মানুষের মহৎ কর্ম তাকে অমর করে রাখে। তাই মানুষের জীবনের প্রকৃত সার্থকতা তার কর্মের মধ্যেই নিহিত থাকে, বয়সে নয়।

মানুষ বাঁচে তার…..বয়সের মধ্যে নয় ভাবসম্প্রসারন Class 9

মূলভাব:
মানুষ মরণশীল, যা চিরন্তন সত্য। তবে কিছু মানুষ তাদের মহৎ কর্মের মাধ্যমে মৃত্যুর পরও অমর হয়ে থাকে।

সম্প্রসারিত ভাব:
জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য প্রাত্যহিক ভোগ-বিলাস বা সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য অর্জন নয়। যারা শুধুমাত্র নিজেদের সুখের জন্য বেঁচে থাকেন, তাদের জীবন কোনো মহৎ উদ্দেশ্য বা কাজের জন্য ধ্বনিত হয় না। তাদের নাম এবং স্মৃতি পৃথিবী থেকে মুছে যায়।

অন্যদিকে, যারা মানবকল্যাণে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন, তাদের কর্ম পৃথিবীতে অমর হয়ে থাকে। মৃত্যু তাদের শরীরকে গ্রাস করলেও, তাদের কীর্তি চিরকাল মানুষের মনে বেঁচে থাকে। এমন মানুষদের মৃত্যুর শত শত বছর পরেও মানুষ তাদের স্মরণ করে।

কবির ভাষায়, “তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ।” মানুষের কাজ এবং কৃতিত্ব তাকে চিরকাল বাঁচিয়ে রাখে। যারা সমাজে, সভ্যতায় অবদান রেখে গেছেন, তাদের নাম কখনো মুছে যাবে না।

মন্তব্য:
মানবদেহ নশ্বর হলেও, তার মহৎ কীর্তি অবিনশ্বর। যদি কেউ মানবকল্যাণে কাজ করে, তার মৃত্যুর পরও তার কর্ম মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে।

মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের.. ভাবসম্প্রসারন SSC & HSC

মূলভাব:
কীর্তিমান ব্যক্তির মৃত্যু নেই, কারণ তাদের মহৎ কর্মই তাদের অমরত্ব প্রদান করে।

সম্প্রসারিত ভাব:
এই পৃথিবীতে জন্ম-মৃত্যু একটি ধ্রুব সত্য। পৃথিবী থেকে মানুষের পার্থিব সত্তা চিরতরে বিলীন হয়ে যায়, কিন্তু তার কর্ম অমর হয়। মৃত্যুর পর, একজন সাধারণ মানুষের অস্তিত্ব অনেকদিন পরেও কেউ মনে রাখে না, কারণ তার কর্ম কোনো বিশেষ চিহ্ন রেখে যায় না। কিন্তু, যিনি জীবনে মহান কর্ম করেছেন, তার কর্মের স্মৃতি চিরকাল মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকে।

বিশ্বের ইতিহাসে এমন অনেক মহৎ ব্যক্তি আছেন যাদের দেহাবসান হয়েছে, কিন্তু তাদের কাজ পৃথিবীকে আলোড়িত করে চলেছে। তাদের কর্ম, চিন্তা ও দৃষ্টিভঙ্গি চিরকাল মানবতার পাথেয় হয়ে থাকে। সে কারণে, বলা যায়, ‘কীর্তিমান ব্যক্তির মৃত্যু নেই’। তাদের কর্মই তাদের সত্তা, তাদের অস্তিত্ব অব্যাহত রাখে।

এটি বাস্তবতা, যে পৃথিবীতে অনেকেই দীর্ঘকাল বেঁচে থেকেও কোনো উল্লেখযোগ্য কাজ করে যেতে পারেন না, তবে কিছু মানুষ অল্প সময় বেঁচে থেকেও পৃথিবীকে আলো দিয়ে যান। তাদের কর্মের মাধ্যমে তারা অমর হয়ে ওঠেন। তাদের কীর্তির জন্য পৃথিবী তাদের স্মরণ করে, এবং তাদের কাজ জীবন্ত হয়ে থাকে বহু প্রজন্ম পরেও।

মন্তব্য:
এজন্য আমাদের জীবনে কীর্তিমান হওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কর্মের মাধ্যমে মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকে, কারণ সত্যিকারের মহত্ব কখনোই সময় বা বয়সের সাথে নির্ধারিত হয় না। বরং কর্মই মানুষের অমরত্বের কপাল নির্ধারণ করে।

আরো গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারন:

সবশেষে:

আশা করছি মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয় ভাবসম্প্রসারনটি পড়ে বুঝতে পেরেছো। ভাবসম্প্রসারনটি ভালো করে পড়ে নিজে নিজে লিখার চেষ্টা করো। SSC & HSC ভাবসম্প্রসারন হিসেবে এটি গুরুত্বপূর্ন। মাই ক্লাসরুম থেকে তোমরা সকল প্রকার ভাবসম্প্রসারন, রচনা, দরখাস্ত, প্যারগ্রাফ মুখস্ত করতে পারবে। তোমাদের জন্য শুভকামনা।

M@mun

Hasan Al Mamun is a dedicated teacher, blogger, and YouTuber who has achieved great success in his field. He was born to parents Shahjahan Topodar and Masrura Begum and grew up with a love for learning and exploration. After completing his Bachelor's degree, Hasan pursued a Master's degree in Accounting and excelled in his studies. He then began his career as a teacher, sharing his knowledge and passion for accounting with his students. In addition to teaching, Hasan is also an avid blogger and YouTuber, creating content that educates and inspires his viewers. His YouTube channel, "My Classroom," has grown to an impressive 240,000 subscribers, earning him a silver play button from YouTube. Hasan's interests include book reading, travelling, gardening, and writing, and he often incorporates these passions into his work. He strives to create an honest and supportive community in all of his endeavors, encouraging his followers to learn and grow alongside him. Overall, Hasan Al Mamun is a talented and dedicated individual who has made a significant impact in the fields of education, blogging, and content creation.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button