যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।

যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন ভাবসম্প্রসারনটি সকল শ্রেণি এবং চাকরি পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন। আমরা খুব সহজ করে লেখার চেষ্ট করেছি। প্রত্যেক ক্লাসের জন্য আলাদা আলাদা করে দেয়া হয়েছ ভাবসম্প্রসারনটি। যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন ক্লাস ৫ থেকে শুরু করে এসএসসি ও এইচএসসি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে।
মাই ক্লাসরুমে পাবেন গুরুত্বপূর্ন ভাবসম্প্রসারন Class 8, Class 9, Class 10 & ভাবসম্প্রসারন এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য। আশাকরছি, ভাবসম্প্রসারনটি দেখে সহজেই মুখস্ত করতে পারবে।
যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন ভাবসম্প্রসারনটি যেকোন পরীক্ষায় কমন আসারমতো। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা ২য়পত্র সাজেশনে প্রায়ই ভাবসম্প্রসারনটি থাকে। তাহলে চলো শুরু করা যাক–
যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন ভাবসম্প্রসারন Class 6
মূলভাব: আমাদের কখনো ছোট বা তুচ্ছ কোনো জিনিসকে অবহেলা করা উচিত নয়। অনেক সময় খুব সাধারণ জিনিসের মধ্যেও লুকিয়ে থাকে বড় সম্ভাবনা।
সম্প্রসারিত ভাব: আল্লাহ আমাদের পৃথিবীকে নানা রকম জিনিস দিয়ে সাজিয়েছেন। কিছু জিনিস বড় এবং মূল্যবান, আবার কিছু জিনিস আকারে ছোট ও সাধারণ। অনেক সময় আমরা বড় ও দামি জিনিসের দিকে বেশি মনোযোগ দিই, আর ছোট বা সাধারণ জিনিসকে অবহেলা করি। কিন্তু ছোট বা তুচ্ছ মনে করা জিনিসের মাঝেও মূল্যবান কিছু থাকতে পারে। বাইরের সৌন্দর্য দেখে আমরা জিনিসের আসল গুণ বা মূল্য বুঝতে পারি না। যেমন, মাকাল ফল দেখতে সুন্দর হলেও ভেতরটা তেমন ভালো নয়। তাই জিনিসের আসল পরিচয় পেতে হলে আমাদের সবকিছু ভালোভাবে বোঝা ও বিশ্লেষণ করা উচিত।
মন্তব্য: বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, গভীর বিচার ও অনুসন্ধানের মাধ্যমেই কোন জিনিসের প্রকৃত মূল্যায়ন সম্ভব।
যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই ভাবসম্প্রসারন Class 7
মূলভাব: জগতের কোনো কিছুই তুচ্ছ মনে করা উচিত নয়। অনেক সময় অতি সাধারণ বা ক্ষুদ্র জিনিসেও বিশাল সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকতে পারে।
সম্প্রসারিত ভাব: মানুষ সাধারণত বড় ও মূল্যবান জিনিসের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে এবং ছোট বা অগুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোকে অবহেলা করে। তবে, এতে অনেক সময় মুল্যবান কিছু অদেখা রয়ে যায়। যেমন, ছাইয়ের নিচে রত্ন পাওয়া অসম্ভব নয়। একইভাবে, অনেক সাধারণ জিনিসের ভেতরে অসাধারণ কিছু লুকিয়ে থাকতে পারে। মানুষ প্রায়শই মহামূল্যবান জিনিসের খোঁজে ছুটে বেড়ায় এবং হাতের কাছের সাধারণ জিনিসগুলোকে তুচ্ছ ভাবে। অথচ, সেই সাধারণ জিনিসগুলোর ভেতরেই অমূল্য কিছু পাওয়া যেতে পারে। যেমন, সাধারণ ঝিনুকের ভেতর মুক্তা থাকে, আর অতি সাধারণ পোষাকের ভেতরে অমিত মেধার মানুষ থাকতে পারে।
মন্তব্য: ক্ষুদ্র বলে কোনো কিছু তুচ্ছ ভাবা ঠিক নয়। বরং সবকিছুর মূল্যায়ন সঠিকভাবে করা উচিত, কারণ সাধারণের মধ্যেই অসাধারণ লুকিয়ে থাকে।
যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই ভাবসম্প্রসারন Class 8 9
কোনো বস্তু বা মানুষকে আকার বা বাহ্যিকতা দেখে অবহেলা করা ঠিক নয়। কারণ অনেক ছোট ও নগণ্য জিনিসের মধ্যেও অসীম সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকতে পারে। রাস্তার পাশে পড়ে থাকা কাগজে হয়তো এমন কোনো জ্ঞান থাকতে পারে যা জীবন বদলে দিতে পারে। তেমনি সাধারণ পোশাক পরা একজন মানুষ হয়তো মানবিক গুণাবলিতে ভরপুর। দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষও পৃথিবীতে অসাধারণ অবদান রেখে যেতে পারে। কবি কাজি নজরুলের ভাষায়, “ওই হতে পারে হরিশচন্দ্র, ওই শ্মশানের শিব।” তাই কোনো বস্তুকে তার আকার বা অবস্থান দেখে তাচ্ছিল্য নয়, বরং তার প্রকৃত মূল্য ও সম্ভাবনা খুঁজে বের করা উচিত।
যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন SSC & HSC
মূলভাব: সামান্য বলে কোনোকিছুকে তুচ্ছ মনে করা ঠিক নয়। কারণ সামান্যের মধ্যেই অনেক সময় নিহিত থাকে বৃহতের ছায়া।
সম্প্রসারিত ভাব:
আমাদের এই সুশোভিত বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড নানা উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। এর মধ্যে অনেক উপাদান আকারে বড়, আবার অনেক উপাদান আকারে খুবই ছোট। কিছু উপাদান মূল্যবান, আবার কিছু উপাদান তুচ্ছ বা মূল্যহীন বলে অবজ্ঞার পাত্র হয়। সাধারণত, মানুষ বড় বা মূল্যবান জিনিসের প্রতি মোহাবিষ্ট হয়ে পড়ে এবং ছোট বা নগণ্য জিনিসকে তুচ্ছজ্ঞান করে অবহেলা করে। তাই এই সব নগণ্য বা তুচ্ছ জিনিস চিরকাল অবহেলা ও অনাদরে থেকে যায়। আসলে এটি মোটেই ঠিক নয়। কারণ, অনেক ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ বস্তুর মধ্যেও অনেক মূল্যবান জিনিস লুকিয়ে থাকতে পারে। বাইরের অবয়ব বা আকৃতি দেখে কোনো জিনিসের প্রকৃত মূল্যায়ন করা যায় না। যদি সঠিকভাবে অনুসন্ধান করা হয়, তাহলে অনেক তুচ্ছ ও নগণ্য জিনিসের মধ্যেও মহামূল্যবান রত্নের সন্ধান পাওয়া সম্ভব। দরিদ্র সন্তানও এ পৃথিবীতে রেখে যেতে পারে এমন অবদান, যা বিশ্বমানবতার জন্য অপরিসীম উপকারে আসবে। এমন নজির বিরল নয়। পৃথিবীর বহু অবহেলিত সন্তান রাজনীতি, সমাজনীতি, ধর্মনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান প্রভৃতি ক্ষেত্রে অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। ঝিনুক সাধারণ বস্তু হলেও, এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে মুক্তার মতো অমূল্য রত্ন। বহু অনুসন্ধানের মাধ্যমেই এই সব মূল্যবান রত্ন বের করতে হয়। বৈজ্ঞানিকগণ কঠোর পরিশ্রম ও গবেষণার মাধ্যমে অতি নগণ্য ও তুচ্ছ জিনিস থেকেও অনেক মূল্যবান পদার্থ আবিষ্কার করেছেন। তাই বলা যায়, তুচ্ছ ছাইয়ের মধ্যেও খুঁজলে মূল্যবান পদার্থ পাওয়া সম্ভব।
তুচ্ছ বলে পৃথিবীতে কিছু নেই। তুচ্ছকে শ্রম দ্বারা কাজে লাগিয়ে প্রচুর ঐশ্বর্যের অধিকারী হওয়া যায়। সুতরাং অযথা সময় নষ্ট না করে সামনে যা পাওয়া যায়, তা তুচ্ছ হলেও গ্রহণ করা উচিত।
সবশেষে:
আশা করছি যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন ভাবসম্প্রসারনটি পড়ে বুঝতে পেরেছো। ভাবসম্প্রসারনটি ভালো করে পড়ে নিজে নিজে লিখার চেষ্টা করো। SSC & HSC ভাবসম্প্রসারন হিসেবে এটি গুরুত্বপূর্ন। মাই ক্লাসরুম থেকে তোমরা সকল প্রকার ভাবসম্প্রসারন, রচনা, দরখাস্ত, প্যারগ্রাফ মুখস্ত করতে পারবে। তোমাদের জন্য শুভকামনা।