শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির… ভাবসম্প্রসারন SSC HSC

যারা হীন মনের অধিকারী, তারা সামান্য উপকারের জন্যও অহংকার প্রকাশ করতে চায় এবং নিজেদের অবদানকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়। তারা অন্যদের নিঃস্বার্থ সাহায্য ও মহত্ত্ব সহজেই ভুলে যায় এবং নিজের সামান্য দানের জন্য গর্ব অনুভব করে।
সম্প্রসারিত ভাব:
শৈবালের জীবন দিঘির পানিতে ভাসমান। এটি তার অস্তিত্বের মূল, তার স্থিতি। শৈবাল দিঘির পানির ওপর নির্ভরশীল। একদিন শীতের রাতে শিশিরের এক ফোঁটা শৈবালের শরীরে পড়ে, এবং সেই শিশির গড়িয়ে পড়ে দিঘির পানিতে। শৈবাল তার এই এক ফোঁটা শিশিরকে দিঘির কাছে গর্বের বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করে, যদিও এটি কিছুই পরিবর্তন করে না। দিঘির বিশাল জলরাশি এবং শৈবালের এক বিন্দু শিশিরের মাঝে কোনো সম্পর্ক নেই। শৈবাল মনে রাখে না, দিঘিই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এই ঘটনাটি আমাদের সমাজের কিছু মানুষের চরিত্রের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে, যারা অন্যের সাহায্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে, কিন্তু পরবর্তীতে সেই সাহায্যকারীকে ভুলে যায়। এ ধরনের মানুষ নিজের সামান্য উপকারের জন্য অহংকার করে, অথচ তারা জানে না যে তারা যা পেয়েছে তা অন্যের দানের ফল।
মন্তব্য:
শৈবালের মতো সংকীর্ণ মনোভাবের মানুষদের সমাজে এড়িয়ে চলা উচিত। তাদের চরিত্র আমাদের জন্য কোনো আদর্শ হতে পারে না। তবে দিঘির মতো বিশাল হৃদয়ের মানুষদের খুঁজে বের করা উচিত, যারা বিনা স্বার্থে সমাজের কল্যাণে কাজ করেন। তাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, আমাদেরও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে অগ্রসর হওয়া উচিত।